কোনো ভোটকেন্দ্রে যদি সাতসকালেই শতভাগ ভোট পড়ে, তা হলে সেখানে কারচুপির অভিযোগ উঠতেই পারে। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটে শতভাগ ভোট পড়া কেন্দ্র নিয়ে কেউই প্রশ্ন করতে পারবেন না।
অরুণাচলের মালোগাম বুথে একমাত্র ভোটার সোকেলা তায়াং সকাল সাড়ে ৯টায় তার ভোট দিয়ে দেন।
চীন সীমান্তের কাছেই দুর্গম হায়ুলিয়াং বিধানসভা কেন্দ্র। শিরোনামে উঠে আসা মালোগাম বুথের প্রিসাইডিং অফিসার ছিলেন বিদ্যুৎ বিভাগের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার গামার বাম।
একটি ভোটের জন্য সেখানে একটি কেন্দ্র স্থাপন করতে হয় এবং পাঁচজন নির্বাচন কর্মকর্তার কাজ করতে হয়েছে।
অন্য চার কর্মকর্তারা হলেন- আনজাওয়ের এডিসি সোদে পোতোম, শিক্ষা দফতরের অফিসার রূপক তামাং, এডিসি অফিসের কর্মী সোনুমলাম তিন্ডিয়া ও চিপ্রু স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মী টিটেনসো ইয়ুন।
আগে নেমে আসা পোতোম ফোনে বলেন, খাড়া পাহাড়গুলোতে বেশি বাড়ি তৈরি সম্ভব নয়। তাই দুটি বাড়ি থাকলেও সেটিকে গ্রাম বলে ধরা হয়।
মালোগামে দুই কন্যাকে নিয়ে বসবাসকারী সোকেলার ভোট সংগ্রহ করতে জেলা সদর হাওয়াই থেকে প্রথমে বাসে ১০০ কিলোমিটার পথ পার করে তারা পৌঁছান টিডিং।
সেখান থেকে শুরু হয় পাহাড় চড়া। কাঁধে কাঁধে নিয়ে যাওয়া হয় বেঞ্চ, টিনের পাত, খাবার, পানি ও অন্য সামগ্রী।
সড়কই নেই, প্রশ্ন নেই মোবাইল নেটওয়ার্কেরও। তাই অরুণাচলের মালোগাম বুথে এক ও একমাত্র ভোটার সোকেলা তায়াং যে ভোট দিয়েছেন—সেই খবরটুকু জেলা সদরে পৌঁছতেই কেটে গিয়েছে বারো ঘণ্টা।