ফেনীর সোনাগাজীতে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের অভিযোগে চাকরি হারিয়েছেন রাবি এক ছাত্র। মামুন বিল্লাহ নামের ওই ছাত্র একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। চাকরি হারানোর কথা স্বীকার করলেও আপত্তিকর মন্তব্য করার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মামুন।
মামুন বিল্লাহ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগ থেকে ২০১৭ সালে স্নাতক শেষ করেছেন। স্নাতকোত্তরে এখনও ভর্তি হননি। তবে এখনও তার রাবিতে ভর্তি হওয়ার সুযোগ রয়েছে।
কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিহত নুসরাতকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করার অভিযোগে এখনই তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের দাবি উঠেছে।
জানা গেছে, একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিহত নুসরাতের বিষয়ে একটি সংবাদ প্রকাশ করে তা ফেসবুক পেজে শেয়ার করে। সেখানে মামুন বিল্লাহর ফেসবুক আইডি থেকে মন্তব্য করা হয়, ‘মেয়েটা কিন্তু জোস ছিলো, মালটা ধর্ষণ করার মতোই ছিলো।’ এমন আপত্তিকর মন্তব্যের পর অনেকেই তাকে ‘ভবিষ্যৎ ধর্ষক’ হিসেবে চিহ্নিত করে তার শাস্তির দাবি করে ফেসবুকে পোস্ট দিচ্ছেন।
মইনুল ইসলাম নামে এক ছাত্র তার ফেইসবুকে লিখেছেন, এমন মানসিকতার একটি ছেলে কিভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে? তাকে অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের দাবি জানান তিনি।
মর্তুজা বশির নামে আরেক ছাত্র মামুন বিল্লাহকে ভবিষ্যৎ ধর্ষক উল্লেখ করে লেখেন, আরেকটি অঘটন ঘটার আগেই সম্ভাব্য এই ধর্ষককে শাস্তি দেয়া হোক।
ইফতেখার হোসেন নামে এক ব্যক্তি লিখেছেন, লজ্জা লাগছে আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করি। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে এমন নিচু মন মানসিকতা কি করে হয়!