Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ মঙ্গলবার, এপ্রিল ২০২৫ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

বগুড়ার মৃৎশিল্পীদের শেষ সময়ের প্রস্তুতি

আল আমিন মন্ডল, বগুড়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১৩ এপ্রিল ২০১৯, ০৫:৪৯ PM
আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০১৯, ০৬:১৪ PM

bdmorning Image Preview


রাত পোহালেই বাংলা নতুন বছর শুরু হবে। দিনটি সকল বাঙালি জাতির ঐতিহ্যবাহী বর্ষবরণের দিন। গ্রাম বাংলার পল্লী এলাকায় বসবে পয়লা বৈশাখী মেলা। ছোট বড় সবাই কিনবে হস্তশিল্প ও মাটির তৈরী জিনিসপত্র। এমনি আশায় বুকবেঁধে প্রতিদিন মাটি দিয়ে তৈরী করছে হরেক রকমের জিনিসপত্র। নববর্ষ উৎসব উপলক্ষে তাঁরা মাটি দিয়ে তৈরী করছে পান্তা ভাত খাওয়ার জন্য মাটির প্লেট ও বাটি। বেশী ভাগ শিল্পী এখন মাটির তৈরী জিনিসপত্রে রং লাগাতে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন।

জানাযায়, মৃৎশিল্পের ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে দীর্ঘদিন ধরে বগুড়ার গাবতলী সোনারায়ের বামুনিয়া পালপাড়া গ্রামের ৫ শতাধিক লোক এখনও মৃৎশিল্পের কাজ করে আসছে। এবছরে বাংলা নববর্ষের মেলা উপলক্ষে তাঁরা মাটির তৈরী প্লেট, খেলনা, হাতি, ঘোঁড়া, বাঘ, মাছ, আম, কাঁঠাল, পুতুল, ব্যাংক, খুটি ও মালসা তৈরী করছে। প্রথমে মাটি সেনে হাত বা মেশিন দিয়ে তৈরী করা হয় এসব মাটির তৈরী জিনিসপত্র। এরপর রোঁদে শুকানোর পর রং লাগিয়ে পোড়া দিয়ে বাজারে অথবা মেলায় বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। মৃৎশিল্পকে ধরে রাখতে ৫শতাধিক লোক এখনো কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছে। স্বচ্ছলভাবে জীবন না কাটলেও বাপ-দাদার শিল্পকে ধরে রাখতে তাদের প্রচেষ্টার যেন অন্ত নেই। তবুও তাঁরা দিনরাত কাজ করছেন। তৈরী করছেন মাটির জিনিসপত্র। মৃৎশিল্প কারিগর শুশিল কুমার জানান, আমাদের ‘পালপাড়া গ্রাম’ যেন মৃৎশিল্পের শহর।

মৃৎশিল্প কারিগর সাঁধন ও রতন জানান, এখন এই শিল্প মুখ থবুরে পড়েছে। মৃৎশিল্প এক সময় লাভবান শিল্প হিসেবে গণ্য করা হতো। এখন লাভ নেই। অমূল্য ও পরেশ জানান, আর্থিক সংকট থাকলেও আমরা এ শিল্পকে ধরে রাখবো।

নারী শিল্পী প্রমিলা, কান্তিবালা ও লক্ষী জানান, দিনরাঁত পরিশ্রম করে আমরা মাটির দিয়ে জিনিসপত্র তৈরী করছি। এযেন আমাদের জীবন সংগ্রাম। তবুও বাংলা নববর্ষসহ বেশ কিছু উৎসবে মেলা বসলেই মাটির জিনিসপত্রের কদর বেশি বেড়ে যায়। তখন দামটা ভাল পাওয়া যায় মনটাও ভাল থাকে। আশা করছি এবারের বাংলা নববর্ষ উৎসবের দিবস (দিন) ভাল কাটবে।   

Bootstrap Image Preview