মেধা ও প্রযুক্তি ভিত্তিক ভবিষ্যতের বাংলাদেশ গড়তে হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরকে সামাজিক অবক্ষয় থেকে রক্ষা করার আহ্বান জানিয়েছেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য ড. মো: আনোয়ার হোসেন।
আজ শনিবার দুপুরে যবিপ্রবির বঙ্গবন্ধু একাডেমিক ভবনের গ্যালারিতে ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসায়েন্স (এফএমবি) বিভাগ আয়োজিত নবীন বরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক ড. মো: আনোয়ার হোসেন বলেন, আমাদের নিজেদেরকে প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে হবে। কারণ আমদানি নির্ভর প্রযুক্তি দিয়ে কখনোই বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন সম্ভব হবে না।
এফএমবি বিভাগের উন্নয়নে বিশ্বমানের একটি হ্যাচারি অ্যান্ড ওয়েট ল্যাব নির্মাণ করা হয়েছে উল্লেখ করে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আগামী দুই বছরের মধ্যে এই বিভাগের শিক্ষার্থীরা মাছের পোনা উৎপাদন প্রযুক্তি থেকে শুরু করে বাজারজাতকরণ পর্যন্ত বিষয়গুলো যেন হাতে-কলামে শিখতে পারে, তার ব্যবস্থা করা হবে। এই বিভাগটিকে সমৃদ্ধ করার জন্য যতখানি সাহায্য সহযোগিতা লাগে আমি ভাইস-চ্যান্সেলর হিসাবে ততখানি সাহায্য সহযোগিতা দিয়ে যাব।
অনুষ্ঠানে নবীনদের শপথ বাক্য পাঠ করান এফএমবি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো: সিরাজুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে নবীনদের ফুল ও করতালির মধ্য দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। একইসঙ্গে এফএমবি বিভাগ থেকে বিভিন্ন বর্ষের বিগত সেমিস্টারে যারা প্রথম হয়েছেন তাদেরকে বিশেষভাবে পুরস্কৃত করা হয়। অনুষ্ঠানে জনকল্যাণমূলক কাজের অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ এফএমবি বিভাগের ‘সহায়ক’ এবং ‘সেড্রো’ প্রতিনিধিদের ক্রেস্ট দিয়ে সম্মাননা জানানো হয়।
এফএমবি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো: সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে নবীন বরণ অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও এফএমবি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো: আনিছুর রহমান, জীব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন ড. কিশোর মজুমদার, এফএমবি বিভাগের অধ্যাপক ড. সুব্রত মন্ডল, শহীদ মসিয়ূর রহমান হলের প্রভোস্ট প্রকৌশলী ড. মো: আমজাদ হোসেন, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মো: মীর মোশাররফ হোসেন, এফএমবি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী হুমায়রা আজমিরা এরিন, নাজমুল হাসান পলাশ, দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র রেজোয়ান বিশ্বাস, প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী শাহরিয়া জাহান মারিয়া প্রমুখ।