ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা আয়োজনে পহেলা বৈশাখ উদযাপিত হয়েছে। এসময় ৩ দিনব্যাপি মেলার উদ্বোধন করা হয়।
এ উপলক্ষে রবিবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৯টা ৩০ মিনিট প্রশাসন ভবনের সামনের চত্বর হতে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, ছাত্রছাত্রী, বিভিন্ন হল, বিভাগ এবং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের স্ব-স্ব ব্যানারসহ অংশগ্রহণে এক বর্ণাঢ্য 'মঙ্গল শোভাযাত্রা' অনুষ্ঠিত হয়।
মঙ্গল শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মেলা প্রাঙ্গণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানস্থল বাংলা মঞ্চে গিয়ে শেষ হয়।
শোভাযাত্রার নেতৃত্ব দেন, উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী। তার সাথে ছিলেন, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সেলিম তোহা ও রেজিস্ট্রার এস, এম আব্দুল লতিফ।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানস্থলে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী ৩ দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনকালে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী বলেন, সংস্কৃতিক হচ্ছে বেগবান যা চর্চার বিষয়। আর এই চর্চাটি হয় পহেলা বৈশাখের সার্বজনীন উৎসব বর্ষবরণের মধ্য দিয়ে। পহেলা বৈশাখ হচ্ছে বাঙালী সংস্কৃতির প্রাণের উৎসব যেখানে নেই কোন ভেদাভেদ ও বিভাজন। সকল ধর্ম, বর্ণ, পেশার মানুষ এই দিনে সম্প্রতির বন্ধনে মেতে উঠে।
তিনি আরো বলেন, সমাজ ও সভ্যতার বিনাশ সৃষ্ঠিকারী অপসংস্কৃতির কারণে যেন আমাদের দেশিয় সংস্কৃতির চরম ক্ষতি সাধন না হয় সেদিকে আমাদের সকলকেই খেয়াল রাখতে হবে। কোন অপশক্তি ও অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসীরা যেন মাথা তুলতে না পারে।
উপাচার্য বলেন, পহেলা বৈশাখের অন্যতম আকর্ষণ হচ্ছে মঙ্গল শোভাযাত্রা। যা আজ সকল অমঙ্গলকে বিদায় করে দিয়েছে। তাই মঙ্গল শোভাযাত্রা সমাজের বিশেষ কোন শ্রেণি-পেশার মানুষের জন্য নয়। বরং তা সার্বজনীন যেখানে সকল ভেদাভেদ ভুলে জাতি, বর্ণ, ধর্ম নির্বিশেষে সমাজের সকল স্তরের মানুষ স্বর্তস্ফুতভাবে প্রাণের উৎসবে মিলিত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল ও বিভাগ এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের আয়োজনে ৩ দিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দুপুর ৩টা হতে রাত ৮টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।