আগামীর ভালো বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রত্যাশায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) বাংলা নববর্ষ ১৪২৬ এর প্রথমদিনকে নানা আয়োজনের মাধ্যমে বরণ করে নেওয়া হয়েছে। পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে নেচে-গেয়ে, বিভিন্ন আকৃতির মুখোশ পরে ঐতিহ্যবাহী গরুর গাড়ি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে করা হয় মঙ্গল শোভাযাত্রাও।
বাংলা নববর্ষ ১৪২৬ উদ্যাপন উপলক্ষে শুক্রবার রাত থেকেই যবিপ্রবির প্রধান সড়ক ও বঙ্গবন্ধু একাডেমিক ভবনের সড়কে বৈশাখী আলপনায় আঁকা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের গ্যালারিকে সাজানো হয় বর্ণিল সাজে।
তবে পহেলা বৈশাখের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় রবিবার সকালে যবিপ্রবির কপোতাক্ষ টাওয়ারের নিচে শিক্ষক সমিতি আয়োজিত পান্তা-ইলিশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: আনোয়ার হোসেন।
কপোতাক্ষ টাওয়ারের নিচের কর্মসূচি শেষে সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে শুরু হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সড়ক-কপোতাক্ষ টাওয়ার-ভিসি বাংলো-স্বাধীনতা সড়ক হয়ে বঙ্গবন্ধু একাডেমিক ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপুল সংখ্যক শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নেচে গেয়ে বাংলার নববর্ষের প্রথমদিনকে বরণ করে নেন।
শোভাযাত্রা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু একাডেমিক ভবনের গ্যালারিতে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যারয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: আনোয়ার হোসেন বলেন, গত বছরের যে জঞ্জাল, সেই জঞ্জাল ভুলে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। আমরা প্রতিজ্ঞা নিই, আগামী দিনটি যেন হয় ভালো। আগামী দিনটি যেন হয় বাংলাদেশের যেন ভালো, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার জন্য ভালো, জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্য ভালো। আগামী দিনটি যেন হয় মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির জন্য ভালো, একইসঙ্গে যারা মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আজও ধারণ করতে পারেনি তাদের জন্য খারাপ।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো: আব্দুল মজিদ, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো: আনিছুর রহমান, কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. শেখ মিজানুর রহমান, বাণিজ্য অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো: জিয়াউল আমিন, স্বাস্থ্য বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মো: জাফিরুল ইসলাম, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মো: নাজমুল হাসান, অ্যাগ্রো প্রডাক্ট প্রসেসিং টেকনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মো: মীর মোশাররফ হোসেন, শহীদ মসিয়ূর রহমানের হলের প্রভোস্ট প্রকৌশলী ড. মো: আমজাদ হোসেন প্রমুখ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে জনপ্রিয় বৈশাখী গান, রম্য বিতর্কসহ নানা আয়োজনে মেতে থাকেন দর্শকেরা।