Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৩ শুক্রবার, জুন ২০২৫ | ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভাঙারি দোকানে সরকারি বই

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৫ এপ্রিল ২০১৯, ০২:৩৮ PM
আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০১৯, ০২:৩৮ PM

bdmorning Image Preview


ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা সদরে একটি ঠোঙা তৈরির দোকানে মাধ্যমিক পর্যায়ের সরকারি (পাঠ্যপুস্তক) প্রায় ৩৮ মণ বই পাওয়ার ঘটনা নিয়ে স্থানীয় বিভিন্ন মহলে আলোচনার ঝড় বইছে। এ ঘটনার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে চার সদস্যের একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নবীনগর উপজেলা সদরের তিতাস নদীর তীর সংলগ্ন শহীদ মিয়ার ভাঙারির দোকানে শনিবার দুপুরে একাধিক ভ্যান গাড়ি থেকে অসংখ্য বই নামাতে দেখে স্থানীয়রা। এরপরই বইগুলো নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে কৌতুহল দেখা দেয়। বইগুলো উপজেলার ইচ্ছাময়ী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে আনা হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এসব বইয়ের মধ্যে ২০১৫ থেকে ২০১৭ সালের অনেক বইও রয়েছে।

ভাঙারি দোকানদার শহীদ মিয়া বলেন, ১২ টাকা কেজি দরে প্রায় ১৮ হাজার টাকায় তিনি প্রায় ৩৮ মণ ওজনের বই হকার দিয়ে নবীনগর ইচ্ছাময়ী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে কিনে এনেছেন।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোকাররম হোসেন বলেন, সরকারি যেকোনো জিনিস নিলাম ছাড়া বিক্রির কোনো সুযোগ নেই। তবে সরকারি বই যদি ২০১৫ সালের আগেরও হয় সে ক্ষেত্রেও একটি কমিটির মাধ্যমে যথাযথ অনুমতি নিয়ে এসব বই বিক্রি করা দরকার ছিল।

নবীনগর ইচ্ছাময়ী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাউছার বেগম বলেন, স্টোর রুম থেকে পুরাতন বই খাতা সরানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল নীহার রঞ্জন চক্রবর্তীকে। কিন্তু বই বিক্রি সম্পর্কে আমি অবগত নই।

তবে বিদ্যালয়ের শিক্ষক নীহার রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, প্রধান শিক্ষকের নির্দেশ ছাড়া আমি বই বিক্রি করবো সেটি কি কেউ বিশ্বাস করবে?

নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মাসুম বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বইয়ের বিষয়টি জানতে পেরে তদন্ত করার জন্য একটি কমিটি গঠন করে দেয়া হয়েছে। আগামী ১৬ এপ্রিল কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

Bootstrap Image Preview