রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মীর বিরুদ্ধে এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (১৫ এপ্রিল) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমিক ভবনের তৃতীয় তলায় মারধরের ঘটনা ঘটে। মারধরে ওই শিক্ষার্থীর ডান হাতে গুরুতর জখম হয়। পরে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়।
মারধরের শিকার শেখ ইউসুফ বাপ্পী গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি খুলনায়। তিনিও ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। অপরদিকে অভিযুক্ত মারধরকারীরা হলেন সংস্কৃত বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের জেমস, প্রথম বর্ষের আল-আমিন এবং রাজু। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনুর অনুসারী।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, খুলনা জেলা সমিতির অনুষ্ঠান উপলক্ষে রবীন্দ্র ভবনের ছাদে বাপ্পীসহ কয়েকজন নাচ-গানের অনুশীলন করতে গেয়িছিলেন। তখন আট-দশজন সেখানে এসে জেলা সমিতির সভাপতি নাজমুলকে পাশে ডেকে নিয়ে যান। পরে তারা বাপ্পীকেও ডাকেন। বাপ্পী সেখানে উপস্থিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা বাপ্পীর ওপর চড়াও হন এবং রড দিয়ে তার পিঠে ও হাতে আঘাত করে।
তবে মারধরকারী জেমসের কাছে জানতে চাইলে তিনি মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘আমার বিভাগের ছোট ভাই আল-আমিনের সঙ্গে বাপ্পীর একটু ঝামেলা হয়েছিল। আমি, রাজু ও আল-আমিন সেই বিষয়টি নিয়েই কথা বলতে গিয়েছিলাম। আমাদের সঙ্গে তার বাকবিত-া হয়েছে ঠিকই কিন্তু মারধরের কোন ঘটনা ঘটেনি।
এ বিষয়ে আল-আমিন ও রাজুর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি। তাদের নম্বরের জন্য জেমসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে রনি নামের একজন ফোন রিসিভ করেন। জেমস বাইরে আছেন বলে জানান তিনি। এরপর থেকেই জেমসের নম্বর বন্ধ পাওয়া গেছে।
মারধরের বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। কর্মীদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি থেকে এ ঘটনা ঘটেছে। তাদের ডেকে নিয় মীমাংসা করে দিয়েছি।’