সড়ক দুর্ঘটনায় রাজীবের মৃত্যুর এক বছর পার হলেও সাহায্য করার ঘোষণা দেওয়া ব্যক্তিরা এগিয়ে আসেনি বলে সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়। আর তাতেই নাম ওঠে আসে নায়ক, প্রযোজক ও ব্যবসায়ী অনন্ত জলিলের।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা অভিযোগ করে অনন্ত জলিল বলেছেন, রাজীবের ছোট দুই ভাইকে নিয়ে খালা ‘ব্যবসা’ করছেন। বাচ্চাদের তিন মাস দেখাশুনার পর সরিয়ে আসার একমাত্র কারণ হিসেবে জাহানারা বেগমকে দ্বায়ী করছেন তিনি।
সাহায্যের বিষয় নিয়ে নিহত রাজীবের খালা জাহানারা বেগম গণমাধ্যমকে জানান, সাহায্য করার নাম করে অনন্ত জলিল কোন কিছুই করেননি। তবে তার প্রচারণা তিনি করে নিয়েছেন।
এ বিষয়ে অনন্ত জলিলের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি রাজীবের দুই ভাইয়ের পড়াশোনার জন্য আমার ফ্যাক্টরির মাদ্রাসাতে রাখার চিন্তা করি। এখানে আরও ২৯ জন আলেম পড়াশুনা করেন। কিন্তু রাজীবের খালা তাতে রাজি হননি। তারপরও তাদের আলাদাভাবে যাত্রাবাড়িতে পড়ার জন্য ভর্তি করে দেই। কিন্তু সেখানেও তাদের খালা বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
খোঁজ-খবর নিয়ে জানা যায় যে, সেখানে তাদেরকে না পাঠিয়ে বাচ্চগুলোকে নিয়ে তাদের খালা বিভিন্ন লোকদের কাছে গিয়ে সাহয্য চেয়ে বেঁড়ান।
তিনি আরও জানান, রাজীবের খালা আসলে এই বাচ্চাগুলোদের নিয়ে ব্যবসা শুরু করেছেন। আমার কাছে, আবার অন্যদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে সাহায্য চান। এ বিষয়টি নিয়ে আমি তাদের খালার সঙ্গে কথা বলার পরও বাচ্চাগুলোদের নিয়ে ব্যবসায় নেমে পড়েন। এরপরও আমি বাচ্চাগুলোকে সাভারের একটি বড় মাদ্রায় ভর্তি করার কথা বলি, তাতেও রাজি হয়নি রাজীবের খালা। একপর্যায় আমার মাদ্রাসার মুফতির পরামর্শে এখান থেকে সড়ে দাঁড়াই। এমনিকি আমি আমার ফেসবুক পেজে বিষয়টি নিয়ে একটা লেখাও লিখি।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৩ এপ্রিল বাংলামটর এলাকায় ওভারটেকিং করতে গিয়ে দুটি বাসের রেষারেষিতে সরকারি তিতুমীর কলেজের স্নাতক তৃতীয় বর্ষের ছাত্র রাজীবের ডান হাত বাস দুটির মাঝখানে চাপা পড়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পথচারীরা তাকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখান থেকে তাকে ঢামেকে স্থানান্তর করা হয়। রাজীবের মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ শুরু হলে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। অবশেষে তিনি ১৬ এপ্রিল মৃত্যুবরণ করেন।