ভারতের নির্বাচন ক্যাম্পেইনে অংশ নিয়ে বাংলাদেশের জনপ্রিয় নায়ক ফেরদৌস আহমেদকে নিয়ে মুখ খুলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। তিনি বলেন ভারতের নির্বাচন ক্যাম্পেইনে অংশ নিয়ে নায়ক ফেরদৌস ঠিক করেনি।
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন ব্রুনাই সফর নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, নায়ক ফেরদৌস আহমেদ ভারতের নির্বাচন ক্যাম্পেইনে অংশ নিয়ে ঠিক করেননি। তিনি একজন নামিদামী লোক। তবে এই ঘটনার জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন। বিষয়টি তিনিও বুঝতে পেরেছেন।
এ বিষয়ে বুধবার রাতে কনস্যুলার কর্প অব বাংলাদেশ (সিসিবি) আয়োজিত অনুষ্ঠানের আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বলেন, ‘ভারতীয়রা এত স্ট্রং রিঅ্যাক্ট করেছে, তা–ও আমার কাছে বেশি লাগল। রিঅ্যাকশনটা একটু বেশি হয়ে গেছে। উনি (ফেরদৌস) তার বন্ধুর জন্য গিয়ে ক্যাম্পেইন করেছেন। তবে সেটি দুঃখজনক।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ এপ্রিল পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কানাইয়ালাল আগরওয়ালের সমর্থনে একটি প্রচারণায় অংশ নেন ফেরদৌস। হুড খোলা গাড়িতে করে অভিনেতাকে সাথে নিয়ে রোড শো করেন কানাইয়ালাল। ফেরদৌসের সাথেই একই গাড়িতে ছিলেন টালিগঞ্জের অভিনেতা অঙ্কুশ ও অভিনেত্রী পায়েল সরকার। যা বিতর্ক তৈরি হলে ভুল স্বীকার করে দুঃখপ্রকাশ করে চিত্রনায়ক ফেরদৌস বলেন, বাংলার প্রযোজক, পরিচালক বা অভিনেতা বন্ধুদের সাথে একটা সুমধুর সম্পর্কও রয়েছে। আর সেই সূত্র থেকেই তিনি ওই প্রচারণায় অংশ নিয়েছিলেন।
তারপরও একজন বিদেশি নাগরিক হয়ে অন্য দেশের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কারণে ভিসা আইনে ফেরদৌসের বিজনেস ভিসা বাতিল করে ভারত। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে নোটিশ জারি করে দ্রুত ভারত ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া এবং কালো তালিকাভুক্ত করে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।