শ্রীলঙ্কায় কারফিউ প্রত্যাহার

রবিবার শ্রীলঙ্কায় আট দফায় বিস্ফোরণের পর যে কারফিউ জারি করা হয়েছিল, তা আজ সোমবার সকালে প্রত্যাহার করা হয়েছে। চার্চ, হোটেল, ইন ও চিড়িযাখানায় দফায় দফায় ওই হামলায় ২৯০ জন নিহত এবং ৫০০ জনের বেশি মানুষ আহত হওয়ার পর ১২ ঘণ্টা ওই কারফিউ জারি করা হয়েছিল।

সিএনএনের একজন প্রতিবেদক জানায়, তিনি বিমানবন্দর থেকে যখন গাড়িতে করে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন তখন মাত্র হাতেগোনা কয়েকটি গাড়ি দেখতে পেয়েছেন। তার ভাষায় সাধারণত ওইসব মহাসড়ক, সড়ক, গাড়ি ও মানুষজনে ভরা থাকে। এসময় রাস্তায় পথচারী বা অন্যান্য দৈনন্দিন কার্যকলাপও তার চোখে পড়েনি।

রবিবারের ওই হামলার পর শ্রীলঙ্কার সেনাবাহিনী ধর্মীয় নেতা, চার্চ, উপাসনালয় এবং ‘গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে’ নিরাপত্তা জোরদার করেছে।

শ্রীলঙ্কান সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র গতকাল গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, কমপক্ষে এক হাজার সেনাসদস্যকে রাজধানী কলম্বোয় মোতায়েন করা হয়েছে।

বাত্তিকালোয়ায় মোতায়েন করা সেনারা নিহত ব্যক্তিদের পরিচয় শনাক্ত করে যাচ্ছেন। পরে ওইসব ব্যক্তিদের মৃতদেহ তাদের আত্মীয় স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দিচ্ছেন।

এদিকে, শ্রীলঙ্কায় খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ওপর ইস্টার সানডের দিন ভয়াবহ এই হামলার পর দেশটিতে পর্যটকদের মধ্যে এক ধরনের ভীতি কাজ করছে। ফলে অনেকেই ইতোমধ্যে দেশটি ছেড়ে চলে গেছেন  কেউ-কেউ চলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এর ফলে শ্রীলঙ্কার পর্যটনশিল্প ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

এ ঘটনায় দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে এক বিবৃতিতে  বলেন, আমাদের জনগণের ওপর যে কাপুরুষোচিত হামলা চালানো হয়েছে, তার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এই দুঃখজনক সময়ে আমি শ্রীলংকার নাগরিকদের ঐক্যবদ্ধ ও শক্ত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। দয়া করে কেউ কোনো গুজব ছড়াবেন না।

উল্লেখ্য, গতকাল রোববার শ্রীলঙ্কায় তিনটি চার্চ, তিনটি বিলাসবহুল হোটেল, একটি ইন ও একটি চিড়িয়াখানার সামনে আট দফায় বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এসব বিস্ফোরণের ঘটনায় ৩৬ বিদেশিসহ ২৯০ জন নিহত ও ৫০০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়।