Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৭ বুধবার, মে ২০২৫ | ২৪ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

ফের বালি দ্বীপে অগ্ন্যুৎপাত, আটকা পড়েছে অসংখ্য পর্যটক

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২২ এপ্রিল ২০১৯, ০৩:১৮ PM
আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০১৯, ০৩:১৮ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


আবারও জেগে উঠেছে ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপের মাউন্ট আগুং আগ্নেয়গিরি। স্থানীয় সময় রবিবার (২১ এপ্রিল) দিনগত রাত ৩টা ২১ মিনিটে হঠাৎ অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়। এতে দ্বীপে আটকা পড়েছেন হাজার হাজার পর্যটক।

আগ্নেয়গিরি থেকে উদগীরণ হওয়া ছাই ছড়িয়ে পড়েছে প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকার আকাশে। দুর্ঘটনা এড়াতে পাহাড়ের আশপাশে চার কিলোমিটার এলাকায় মানুষের চলাচল নিষিদ্ধ করেছে কর্তৃপক্ষ।

অগ্ন্যুৎপাতের কারণে ওই এলাকায় প্লেন চলাচল হুমকির মুখে পড়েছে। যদিও বালি দ্বীপের প্রধান বিমানবন্দর এনগুরা রাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অগ্ন্যুৎপাতের কোনো প্রভাব পড়েনি বলে দাবি করেছে দেশটির প্লেন চলাচল কর্তৃপক্ষ। তবে আগ্নেয়গিরি থেকে ক্রমাগত লাভা ও ছাই উদগীরণের ফলে সেখানে প্লেন চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এ কারণে দ্বীপটিতে হাজার হাজার ভ্রমণকারী দীর্ঘদিন আটকে থাকার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

এর আগে ২০১৭ সালের পর ওই পর্বত থেকে নিয়মিতই অগ্ন্যুৎপাত হয়। এ কারণে আশপাশের এলাকার বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ২০১৮ সালের জুন মাসে অগ্ন্যুৎপাতের পর জেটস্টার, কান্টাস, এয়ার এশিয়া, ভার্জিন অস্ট্রেলিয়ার মতো প্রতিষ্ঠানগুলো বালির বিমানবন্দর থেকে সব ফ্লাইট বাতিল ঘোষণা করে। এতে সেসময় পাঁচ হাজারেরও বেশি যাত্রী দ্বীপটিতে আটকা পড়েন।

ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় দুর্যোগ নিরসন সংস্থার মুখপাত্র সুতোপোর পুরো নুগরোও বলেন, এটি একটি সক্রিয় আগ্নেয়গিরির স্বাভাবিক অবস্থা। এতে জনগণের ভয়ের কিছু নেই, যদি তারা বিপদজনক এলাকার বাইরে থাকে। তবে কিছু অতিউৎসুক পর্যটক নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মাউন্ট আগুং পর্বতে ওঠার চেষ্টা করছেন বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।

বালি দ্বীপে ১২০টিরও বেশি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি রয়েছে। মাউন্ট আগুং থেকে অগ্ন্যুৎপাত শুরু হওয়ায় মাউন্ট ব্রোমো ও মাউন্ট মেরাপি পর্বত এলাকায়ও সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

Bootstrap Image Preview