শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোসহ দেশটির বিভিন্ন গির্জা ও পাঁচ তারকা হোটেলে ভয়াবহ সিরিজ বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৯০ জনে দাঁড়িয়েছে। ওই হামলায় ৫০০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।
এ দিকে বোমার হামলার তদন্ত করতে গিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে গোয়েন্দারা। তাদের দাবি- কলম্বোর গ্র্যান্ড হোটেলে বোমা বিস্ফোরণ করার ঠিক আগে হোটেলের খাবারের লাইনে দাঁড়িয়ে ছিল 'মোহম্মাদ আজম' নামের এক আততায়ী। ঠিক যে সময় তার পাতে খাবার তুলে দেওয়ার কথা তখনই বিস্ফোরণ ঘটিয়ে দেয় সে।
তাদের দাবি, হোটেলে সে সময় প্রচুর মানুষ উপস্থিত ছিলেন বলে মুহূর্তেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলেই অনেকের প্রাণ যায়। দৌঁড়তে গিয়ে আহতও হন অনেকে।
হোটেলের ম্যানেজার জানিয়েছেন, লাইনে দাঁড়িয়ে খাবারের কাউন্টারের সামনে পর্যন্ত যায় আজম। তারপরই সে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে দেয়। খাবার পরিবেশনের দায়িত্বে থাকা কর্মীর সাথে সাথেই মৃত্যু হয় হামলাকারীর।
প্রায় একই সময় শহরের আরও দু-তিন আমি হোটেলে বিস্ফোরণ হয়। পাশাপাশি বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে তিনটি গির্জাও। প্রার্থনার জন্য সে সময় প্রচুর মানুষ সেখানে উপস্থিত ছিলেন। ফলে মুহূর্তের মধ্যেই মৃতের সংখ্যা বাড়তে শুরু করে।
কলম্বোর অন্যতম পুরনো গির্জা সেন্ট অ্যান্থনি। সেখানে বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে গির্জার বেশিরভাগ অংশই ভেঙে গেছে। হামলার পরে এখনও কোনও সংগঠন স্বীকার করেনি।
এ দিকে এই ঘটনার মধ্যেই রাজধানীর প্রধান বিমানবন্দরের খুব কাছে উদ্ধার হল পাইপ বোমা। তবে নতুন করে ভয়াবহ কিছু ঘটার আগে সেটি নিষ্ক্রিয় করে দিয়েছে পুলিশ।
প্রাথমিকভাবে তদন্তকারীরা অনুমান করছেন, স্থানীয়ভাবেই বোমটি তৈরি করা হয়েছিল।
জানা গেছে, বিমানবন্দরের টার্মিনালে বোমাটি পড়েছিল। অঘটন ঘটার আগেই সেটিকে নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া সম্ভব হয়। শ্রীলঙ্কার বিমানবাহিনীর এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, আইডি বোমাটি শ্রীলঙ্কাতে তৈরি বলে মনে হচ্ছে।