Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৭ বুধবার, মে ২০২৫ | ২৩ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

১০ দিন আগে থেকেই হামলার ব্যাপারে জানত শ্রীলংকার পুলিশ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২২ এপ্রিল ২০১৯, ০৫:১৮ PM
আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০১৯, ০৫:১৮ PM

bdmorning Image Preview


শ্রীলঙ্কায় ভয়াবহ সিরিজ বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৯০ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৫০০ জন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। এ হামলার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২৪ জনকে আটক করা হয়েছে। যারা সবাই শ্রীলঙ্কার নাগরিক বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী।

শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে বলেছেন, তার দেশে যে বোমা হামলায় ৩০০ জন নিহত হয়েছেন, তার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পুলিশ ২৪ ব্যক্তিকে আটক করেছে। এখন পর্যন্ত আটক আট ব্যক্তির পরিচয় থেকে জানা গেছে তারা সবাই শ্রীলঙ্কার নাগরিক। তবে তাদের সঙ্গে বিদেশের কারও যোগাযোগ আছে কি-না এখন সেটি যাচাই করে দেখা হচ্ছে।

এদিকে গোয়েন্দারা দাবি করছেন, কলম্বোর গ্র্যান্ড হোটেলে বোমা বিস্ফোরণ করার ঠিক আগে হোটেলের খাবারের লাইনে দাঁড়িয়ে ছিল ‘মোহম্মাদ আজম’ নামের এক আততায়ী। ঠিক যে সময় তার পাতে খাবার তুলে দেওয়ার কথা তখনই বিস্ফোরণ ঘটিয়ে দেয় সে। হোটেলে সে সময় প্রচুর মানুষ উপস্থিত ছিলেন বলে মুহূর্তেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলেই অনেকের প্রাণ যায়। দৌঁড়তে গিয়ে আহতও হন অনেকে।

হোটেলের ম্যানেজার জানিয়েছেন, লাইনে দাঁড়িয়ে খাবারের কাউন্টারের সামনে পর্যন্ত যায় আজম। তারপরই সে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে দেয়। খাবার পরিবেশনের দায়িত্বে থাকা কর্মীর সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যু হয়।

প্রায় একই সময় শহরের আরও দু-তিন নামি হোটেলে বিস্ফোরণ হয়। পাশাপাশি বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে তিনটি গির্জাও। প্রার্থনার জন্য সে সময় প্রচুর মানুষ সেখানে উপস্থিত ছিলেন। ফলে মুহূর্তের মধ্যেই মৃতের সংখ্যা বাড়তে শুরু করে। কলম্বোর অন্যতম পুরনো গির্জা সেন্ট অ্যান্থনি। সেখানে বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে গির্জার বেশিরভাগ অংশই ভেঙে গেছে।

শ্রীলঙ্কার গির্জায় যে হামলা হতে পারে দিন দশেক আগেই তার ইঙ্গিত পেয়েছিল পুলিশ। এ কারণে সতর্কবার্তা জারি করেছিলেন শ্রীলঙ্কার পুলিশ প্রধান। তার বক্তব্য উদ্ধৃত করে এ কথাই বলেছে সংবাদ সংস্থা এএফপি। পুলিশ প্রধান পি জয়াসুন্দরা ১১ এপ্রিল এই মর্মে পুলিশ কর্মকর্তাদের সতর্ক বার্তা পাঠান।

ওই সতর্কবার্তায় লেখা হয়েছিল, এনটিজে নামে একটি সংগঠন দেশের বিশিষ্ট গির্জায় হামলার চেষ্টা করছে। ভারতীয় হাই কমিশনও তাদের নজরে আছে।

এদিকে হামলায় মৃতের সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলছে বলে কলম্বো ন্যাশনাল হাসপাতালের প্রধান চিকিৎসক ডা. আনিল জাসিংগে বলেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে লাশের সংখ্যা যেন বেড়েই চলেছে।

Bootstrap Image Preview