শ্রীলংকায় সিরিজ বোমা হামলায় আহত শিশুদের হাসপাতালে নিয়ে এসেছেন শান্তা প্রসাদ। তিনি বললেন, গির্জা ও অভিজাত হোটেলে হামলার ঘটনা তাকে দেশটির গৃহযুদ্ধের সময়ের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে।
সোমবার প্রসাদ জানান, গতকাল অন্তত ৮টি আহত শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলেন তিনি। তাদের কয়েকজনের অবস্থা ছিলো আশঙ্কাজনক। তাদের মধ্যে দুটি মেয়ের বয়স ছিলো ৬ থেকে ৮ বছরের মধ্যে। আমার মেয়েরও একই বয়স। খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী একটি মেয়ে আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলো, স্রষ্টা এখন কোথায়-(হোয়্যার ইজ গড?)। আমি কিছুই বলতে পারিনি, শুধু কেদেছি’, বলেন প্রসাদ।
তার ভাষায়, ‘প্রত্যেকে ছিড়ে যাওয়া জামাগুলো রক্তে ভিজে লাল হয়ে গিয়েছিলো। এমন সহিংসতা দেখা অসহনীয়।’
রবিবার শ্রীলঙ্কায় ইস্টার সানডের প্রার্থনার সময় গির্জা, অভিজাত হোটেল ও কলম্বোর পার্শ্ববর্তী এলাকার মোট আট জায়গায় সিরিজ বোমা হামলা চালানো হয়। এতে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ২৯০ জন নিহত হওয়ার খবর জানা গেছে। হামলায় আহত হয়েছে আরো পাঁচ শতাধিক। নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
হামলাটি কোচকিকাদে, কাতুয়াপিটিয়া ও বাট্টিকালোয়া নামক স্থানের তিনটি গির্জায় চালানো হয়। এছাড়া দেশটির রাজধানীর অভিজাত তিনটি হোটেল সাংগ্রি লা, দ্য কিন্নামোন এবং কিংসবারি হোটেলেও বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। প্রথম বিস্ফোরণটি কলম্বোর সেন্ট এন্থনি চার্চ ও কাতুয়াপিটিয়ার সেন্ট সেবাস্থিয়ান চার্চে ঘটে।
এখন পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী কিংবা ব্যক্তি রোববারের এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। আত্মঘাতী বোমারুরা হামলাটি চালিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।