চীনের প্রেসিডেন্ট শিং জিনপিং বলেছেন, চীনারা শান্তি ভালবাসে। কাজেই কোনো দেশের উচিত নয়, অন্যকে শক্তি দেখিয়ে ভয় প্রদর্শন করা।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) চীনের নৌবাহিনীর ৭০ বছর পূর্তির সামরিক মহড়ার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বন্দরনগরী কুইংডাওতে বিদেশি নৌ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি বলেন, বিশ্বের নৌবাহিনীগুলোর উচিত সমুদ্রে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা।
এদিকে নৌমহড়ায় অংশ নিতে চীনের বন্দরনগরী কুইংডাওতে ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও জাপানসহ বেশ কয়েকটি দেশের যুদ্ধজাহাজ পৌঁছে গেছে। আঞ্চলিক উত্তেজনা ও সংশয় থাকলেও দেশটিতে রবিবার শুভেচ্ছা সফরে গেছে এসব জাহাজ।
বেইজিং জানিয়েছে, এক ডজনেরও বেশি দেশের যুদ্ধজাহাজ এ প্রদর্শনীতে অংশ নেবে। মহড়ায় অংশ নেবে এমন ১৩ দেশের নাম পাওয়া গেছে।
সীমান্তের বিতর্কিত ভূমি নিয়ে চীনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কে টানাপোড়েন রয়েছে। এ ছাড়া ভারতের চিরবৈরী পাকিস্তানকে সবসময় সমর্থন জানিয়ে আসছে চীন। কিন্তু একটি রসদ জাহাজসহ শত্রুপক্ষের চোখ ফাঁকি দিতে সক্ষম গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার আইএনএস কলকাতাকে মহড়ায় অংশ নিতে পাঠিয়েছে ভারত।
কুইংডাওতে নামার পর ক্যাপ্টেন আদিত্য হারা বলেন, আমাদের নির্মিত সবচেয়ে ভালো জাহাজের একটি এখানে নিয়ে এসেছি। এটি আমাদের দেশ ও নৌবাহিনীর গর্ব। এখানে এসে আমরা গর্বিত।
আর যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র অস্ট্রেলিয়া এইচএমএএস মেলবোর্ন গাইডেড মিসাইল ফ্রিগেট পাঠিয়েছে চীনে। অস্ট্রেলিয়ার রাজনীতিতে চীনের হস্তক্ষেপ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে বিতর্ক রয়েছে।
মহড়ায় অংশ নিতে জাপানও একটি ডেস্ট্রয়ার পাঠিয়েছে। ২০১১ সালের পর এই প্রথম কোন জাপানি নৌজাহাজ চীনা বন্দরে ভিড়ল। চীন ও জাপান হচ্ছে বিশ্বের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় অর্থনীতি দেশ। দক্ষিণ চীন সাগরে দ্বীপ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে কলহ লেগেই আছে।