আজ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে স্পেনে সাধারণ নির্বাচন। এ নির্বাচনকে ঘিরে স্থানীয় প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাঝে বিরাজ করছে উৎসাহ উদ্দীপনা।
অনুষ্ঠিত এ সাধারণ নির্বাচনে সোশ্যালিস্ট পার্টি এগিয়ে রয়েছে বলে স্থানীয় দৈনিক পত্রিকাগুলোর সাম্প্রতিক জরিপে জানা গেছে। তবে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা কোন দলই পাবে না, এমন সম্ভাবনা প্রকাশিত হয়েছে সংবাদমাধ্যমে।
দেশটির সংসদীয় সরকার ব্যবস্থায় সরকার গঠনের জন্য মোট ৩শ’ ৫০টি আসনের মধ্যে ১শ’ ৭৬টি আসনের প্রয়োজন। এক্ষেত্রে নির্বাচন শেষে বামপন্থী দল সোশ্যালিস্ট ও পদেমস কিংবা ডানপন্থী দল পপুলার, সিউদাদানস ও ভক্স পার্টির মধ্যে ‘কোয়ালিশন’ সরকার গঠনের সম্ভাবনা রয়েছে।
নির্বাচনকে সামনে রেখে অভিবাসন নীতিতে দলগুলোর রয়েছে ভিন্ন মনোভাব। ক্রমবর্ধমান অভিবাসন প্রবাহকে সহজতর করার পাশাপাশি মানবাধিকারকে সর্বোচ্চ সম্মান প্রদান করবে সোশ্যালিস্ট পার্টি। ইউরোপিয়ান অভিবাসন নীতি অনুসরণ করবে দলটি। পদেমস ‘মাইগ্রেন্ট হোল্ডিং সেন্টার’ বন্ধ করে ‘হিউম্যানিটারিয়ান ভিসা’ প্রদান এবং পরিবার পুনর্মিলনী পদ্ধতিগুলো শিথিল করতে আগ্রহী। স্বল্প সময়ে স্প্যানিশ নাগরিকত্ব প্রদান ও দাবি তাদের।
অন্যদিকে অনিয়মিত অভিবাসীদের প্রত্যাবর্তনের জন্য আন্তর্জাতিক চুক্তি প্রসারিত করার কথা বলছে পপুলার পার্টি। তবে ভেনিজুয়েলার অভিবাসীরা এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হবেন। তারা রেসিডেন্ট সুবিধা পাবেন। ইউরোপিয়ান অভিবাসন নীতি অনুসরণ করার কথা বলছে সিউদাদানস।
কট্টর ডানপন্থী দল ভক্স চায় অবৈধ অভিবাসীদের দেশে ফেরত পাঠাতে। এমনকি বৈধ অভিবাসীদের, যারা স্পেনে মারাত্মক অপরাধের সাথে জড়িত কিংবা নিয়মিত ক্ষুদ্র অপরাধ করে যাচ্ছে।
এ নির্বাচন ঘিরে দেশটিত বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাঝে বিরাজ করছে উৎসাহ, উদ্দীপনা। কারা ক্ষমতায় আসলে অভিবাসীদের জন্য সুযোগ সুবিধার পরিধি বাড়বে, তা নিয়ে রয়েছে ভিন্ন মত।
প্রসঙ্গত, রবিবার (২৮ এপ্রিল) নির্বাচনটি হবে ৪ বছরের কম সময়ের মধ্যে স্পেনের তৃতীয় সাধারণ নির্বাচন। ২০১৫ সালের ২০ ডিসেম্বরের সাধারণ নির্বাচনে প্রধান ২টি দল পপুলার পার্টি ও সোশ্যালিস্ট পার্টির কেউই সরকার গঠনের জন্য প্রয়াজনীয় আসন না পাওয়ায় এবং কোয়ালিশন সরকার গঠনে সমমনা দলগুলোর সম্মতি না পাওয়ায় ২০১৬ সালের ২৬ জুন দ্বিতীয় দফা সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।