একদিকে বিদ্যুতের ভয়াবহ লোড শেডিং, অন্যদিকে মাথার উপর সূর্যের প্রকট তাপ। বলা যায় দুয়ে মিলে চার। ফলে অনেকটা অসহনীয় জীবনযাপন করছে সাতক্ষীরাবাসী।
এদিকে সাতক্ষীরা বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, প্রিপেইড মিটার লাগানো, বিদ্যুতের খুটি স্থানান্তর ও ত্রুটিপূর্ণ তার মেরামতের কারণে এ বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের সৃষ্টি হচ্ছে।
এদিকে গরমের সাথে পাল্লা দিয়ে লোডশেডিং হওয়ার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। অব্যাহত লোডশেডিং-এর কারণে তাদের পড়াশোনায় চরমভাবে বিঘ্ন ঘটছে। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিদ্যুৎ নির্ভর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অবস্থা আরো করুণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
শহরের কলেজ রোড এলাকার ভ্যান চালক সিদ্দিকুর রহমান জানান, গরমে ঠিকমত ভ্যান চালাতে পারছি না, তার উপর বিদ্যুতের এই লোড শেডিং আর সহ্য করা যাচ্ছে না।
জেলা নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের সদস্য সচিব হাফিজুর রহমান মাসুম জানান, দিনের বেলায় কাজের কারণে যদি ঘন ঘন লোড শেডিং করা হয় তাহলে রাতের বেলায় বা ভোর বেলায় কেন বিদ্যুৎ থাকছে না। তিনি এ জন্য সাতক্ষীরা বিদ্যুৎবিভাগের অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করেন।
তিনি জানান, সরকার যেখানে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ করছেন সেখানে বিদ্যুতের এই লোডশেডিং কোন প্রকার মেনে নেয়া যায় না। তিনি আরো জানান, বিদ্যুতের এই লোডশেডিং সমস্যার দ্রুত সমধান করা না হলে সাধারণ জনতাকে নিয়ে আগামীতে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
এ ব্যাপারে ওয়েষ্ট পাওয়ার জোন ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের সাতক্ষীরার আবাসিক নির্বাহি প্রকৌশলী মোঃ হাবিবুর রহমান জানান, সাতক্ষীরায় বিদ্যুতের চাহিদা ১৭ মেগাওয়াট। আমরা পাচ্ছিও ১৭ মেগাওয়াট। চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ পেলেও কেনো এই ঘন ঘন শের্র্ডিং হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রিপেইড মিটার লাগানো, বিদ্যুতের খুটি স্থানাস্তর ও ত্রুটিপূর্ণ তার মেরামতের কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে।