রাজশাহীতে একটি যাত্রীবাহী বাস খাদে পরে ঘটনাস্থলেই ৩ জন নিহত এবং অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। নিহতরা সবাই রজনীগন্ধা বাসের যাত্রী।
বৃহস্পতিবার (২ মে) সকালে বাঘা উপজেলার রাজশাহী-বাঘা সড়কের মীরগঞ্জ মোড়ের ভানুকর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, বাঘা উপজেলার ছাতারী গ্রামের সমসের আলীর ছেলে আবু হানিফ (২৩), মনিগ্রাম বান্দাবটতলা গ্রামের মুনছার আলীর স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৪৫), হরিরামপুর দাঁড়পাড়া গ্রামের নিয়াত আলীর স্ত্রী বাদলা বেগম (৪২)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাঘা থেকে রাজশাহীগামী রজনীগন্ধা (সিরাজগঞ্জ ব- ০৫) নামের একটি যাত্রীবাহী বাস মীরগঞ্জ মোড়ে ভটভটিকে অভারটেক করতে লাগলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। এতে খাদে বাসের নিচে চাপা পড়ে ৩ জন নিহত ও অনেকে আহত হয়। বাঘা বাসস্ট্যান্ড এলাকার নুরুল হক নামের এক যুবক বাসটি ড্রাইভিং করছিলেন বলে জানা গেছে। তবে দুর্ঘটনার পর তিনি সটকে পড়েছেন।
আহতরা হলেন ছাতারী গ্রামের সজল আলী, নারায়ণপুর গ্রামের কার্তক হালদার, চকনারায়নপুর গ্রামের প্রষান্ত কুমার, চকছাতারী গ্রামের শরিফুল ইসলাম, হেলালপুর গ্রামের লালন উদ্দিন, চকছাতারী গ্রামের জিল্লুর রহমান, লালপুর ঘোষপাড়া গ্রামের মোয়াজ্জেম হোসেন প্রমুখ।
তাদেরকে উদ্ধার করে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য ১৩ জনকে চারঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং গুরুতর আহতদেরকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বাসটিতে থাকা মনিহারপুর গ্রামের রাহাদুল ইসলাম বলেন, একটি ভটভটিকে ওভারটেক করার সময় এঘটনাটি ঘটে। তবে অল্পের জন্য আমি বেঁচে গেছি।
বাঘাস্ট্যান্ডের বাস মাস্টার আবদুল হক বলেন, বাসটি ৩৫ জন যাত্রী নিয়ে সকাল ৫টা ৪৫ মিটিটে বাঘা বাসস্ট্যান্ড থেকে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে রওনা হয়। তারই কিছুক্ষণ পর সকাল ৬টার দিকে মনিগ্রাম ইউনিয়নের মীরগঞ্জ মোড়ের ভানুকর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ার খবর শুনতে পাই।
বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মহসীন আলী ঘটনাটি নিশ্চিত করে বলেন, এ বিষয়ে থানায় দুইজনকে আসামী করে একটি মামলা হয়েছে। বাসটি পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন রেজা বলেন, দুর্ঘটনার বিষয়ে জানার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে জেলা প্রশাসেকের নির্দেশে নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে দেয়া হয়েছে।