Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১১ রবিবার, মে ২০২৫ | ২৮ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

‘ফণী’ মোকাবেলায় প্রস্তুত ছাত্রলীগের ৫ হাজার নেতাকর্মী

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩ মে ২০১৯, ০৭:০৮ PM
আপডেট: ০৩ মে ২০১৯, ০৭:০৮ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


ঘূর্নিঝড় ফণীর ক্ষতি মোকাবেলায় দেশের উপকূলীয় ১৯ জেলায় কেন্দ্র ও জেলা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে ১৯টিম গঠন করেছে ছাত্রলীগ। এদেরে নেতৃত্বে ৫ হাজার নেতাকর্মী সরকারি সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে ফণীর ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় জনসাধারণের পাশে থেকে কাজ করবেন। 

শুক্রবার (৩ মে) ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী বলেন, গত বুধবার আমি নিজে ত্রাণ ও দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান ও সিনিয়র সচিব শাহ কামালসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেছি। আমি জানতে চেয়েছি, কীভাবে সরকারি টিমের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে পারি? তাদের দেয়া পরামর্শ ও নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা আমাদের করণীয় ঠিক করেছি। প্রতিটি উপকূলীয় ১৯ জেলার কেন্দ্র থেকে স্বেচ্ছাসেবক টিম পাঠাচ্ছি। আমাদের কেন্দ্রীয় চারনেতা ও জেলা সভাপতির নেতৃত্বে ওইসব জেলায় কমিটি করে দিয়েছি। 

তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফণী'র আগ্রাসনে সম্ভাব্য ক্ষতিগ্রস্ত জনপদে যেকোনো মানবিক প্রয়োজনে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে পাশে থাকতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বদ্ধপরিকর। সম্ভাব্য আক্রান্ত ১৯ জেলায় ছাত্রলীগের ৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবক ইতিমধ্যেই প্রস্তুত রয়েছে। প্রস্তুতি নিচ্ছে অন্যান্য সকল নেতাকর্মী। তারা জেলাভিত্তিক বিশেষ প্রতিনিধি দলের তত্বাবধানে 'দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ' মন্ত্রণালয়ের গাইডলাইন নিয়ে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে সমন্বয় করে কাজ করবে।

এদিকে শুক্রবার বিকালে ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী স্বাক্ষরিত ওই ১৯ কমিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে। আজ কেন্দ্র থেকে গঠিত টিম জেলাগুলোতে চলে যাবে।

জানা গেছে, লন্ডনে সফররত ছাত্রলীগের সাংগঠনিক নেত্রী, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাদের ফণীর ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় সাধারণ মানুষের পাশে থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশের পরপরই ছাত্রলীগ দেশব্যাপী নিজেদের প্রতিটি ইউনিটকে দুর্যোগ ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় মানুষের পাশে থাকার নির্দেশনা দেয়ার পাশাপাশি উপকূলীয় ১৯ জেলায় কেন্দ্রীয় ১৯ টিম পাঠাচ্ছে। 

উল্লেখ্য, ভারতের উত্তর প্রদেশে ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে সৃষ্ট বজ্রপাতে ও গাছ উপড়ে অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে উত্তর প্রদেশে আট জন ও উড়িষ্যায় দুই জনের মৃত্যু হয়েছে।

রাজধানীজুড়ে থেমে থেমে চলছে এই বৃষ্টি। কখনও প্রবল্ভাবে কখনও ধীরে ধীরে হচ্ছে বৃষ্টি। বেলা সাড়ে ৩টার পর থেকে সূর্যের মুখ দেখা যাচ্ছে না।

বলা হচ্ছে, ১৯৯৯ সালের ঘূর্ণিঝড়ের পর এটাই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে শক্তিশালী। এই ঝড়ে প্রায় ১০ হাজার গ্রাম ও ৫০টি শহর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। 

 

Bootstrap Image Preview