Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৬ মঙ্গলবার, মে ২০২৫ | ২৩ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

স্বামীর দেয়া আগুনে নিভে গেল দীপিকার জীবন প্রদীপ

নারী ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪ মে ২০১৯, ০১:৪৩ PM
আপডেট: ০৪ মে ২০১৯, ০১:৪৫ PM

bdmorning Image Preview


চারদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে প্রাণ হারিয়েছেন গৃহবধূ দীপিকা আশ্চার্য্য মনিকা। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সন্ধ্যায় মারা যান তিনি। চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ থানা পুলিশের ওসি মো. আলমগীর হোসেন রনি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ওসি মো. আলমগীর হোসেন রনি জানান, দীপিকা আশ্চার্য্য মনিকার শরীরের প্রায় ৯২ শতাংশ ঝলসে গিয়েছিল। মৃত্যুর আগে তিনি পুলিশের কাছে জবানবন্দি দিয়েছেন। এ ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে তার স্বামী, শাশুড়ি ও ভাসুরকে আটক করে আদালতে পাঠালে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠান।

নিহত দীপিকা আশ্চার্য্য মনিকা হাজীগঞ্জ পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড বকুলতলা রোডের রঞ্জিত আশ্চার্য্যের ছেলে বিপুল আশ্চার্য্যের স্ত্রী। দশ বছর আগে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। তাদের তিন বছরের একটি মেয়ে রয়েছে।

এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার রাতে হাজীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন নিহতের ভাই অরবিন্দ আশ্চার্য্য।

অভিযোগে বলা হয়, গত ৩০ এপ্রিল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে স্বামী বিপুল আশ্চার্য্য ও ভাসুর সজল আশ্চার্য্য কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে দীপিকাকে হত্যার চেষ্টা করে। ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে এটিকে দুর্ঘটনা বলে প্রচার করা হয়। এ সময় তাকে প্রথমে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে কুমিল্লা মেডিকেলে নেয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।

বড় ভাই অরবিন্দ আশ্চার্য্য বলেন, মোবাইল ফোনে বোনের দুর্ঘটনার খবর শুনে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে গিয়েছি। সেখানে সে বলেছে, ‘মারধর করে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় তার স্বামী ও ভাসুর। ঘটনার পর থেকে ৩ বছরের ভাগনীকে নিয়ে সজলের স্ত্রী দিপা পলাতক রয়েছে।’

তিনি আরো জানান, ‘আগুন লাগানোর আগে দীপিকাকে মেরে ফেলার জন্য মারধর করা হয়। তার মাথা ও কপাল ফেটে গেছে। যে রুমে তাকে নির্যাতন করা হয়েছে, ওই রুমের দেয়ালে রক্তের দাগ রয়েছে। বিপুল, সজল, তাদের মা সন্ধ্যা রাণী আশ্চার্য্য, সজলের স্ত্রী দিপা আশ্চার্য্য মিলে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে।’

অরবিন্দ আশ্চার্য্য বলেন, বিপুল মাদকাসক্ত। তাদের পরিবারে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো। সে ঘরে বসেই ইয়াবা সেবন করতো। সজল ও বিপুলদের অনেক টাকার মূল্যের একটি সম্পত্তি আছে। কয়েক মাস যাবত ওই সম্পত্তি বিক্রির চেষ্টা করে আসছে সজল ও বিপুল। আমার বোন দীপিকা ওই সম্পত্তি বিক্রিতে বাধা দিয়ে আসছিল। এছাড়াও তাদের পারিবারিক কলহ ছিল দীর্ঘ দিনের।

হাজীগঞ্জ থানা পুলিশের ওসি আলমগীর হোসেন রনি জাগো নিউজকে বলেন, সজলের স্ত্রী দিপা আশ্চার্য্যকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

Bootstrap Image Preview