আইপিএলে পরাজয় দিয়ে আসর শেষ করল সাকিবের দলে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ। শুক্রবার রাতে তাদেরকে ৪ উইকেটে হারিয়ে জয় দিয়ে মৌসুম শেষ করেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। এদিন প্রথমে ব্যাট করে সাত উইকেটে ১৭৫ রান তোলে হায়দরাবাদ। জবাবে ৪ বল বাকী থাকতে ৪ উইকেটে জিতল ব্যাঙ্গালোর। এর ফলে অনেকটা সুবিধা হল কলকাতার। রবিবার মুম্বাইকে হারাতে পারলেই কলকাতা চলে যাবে আইপিএলের প্লে-অফে।
এদিকে হায়দ্রবাদের প্লে খেলার পরিসংখ্যাটা এখন নির্ভর করছে মুম্বাই ও কলকাতা ম্যাচের উপর। কারণ এই ম্যাচে মুম্বাই জিতলে প্লে খেলতে পারবে হায়দ্রাবাদ। পয়েন্ট টেবিলে ১৪ ম্যাচে ছয়টি জয় নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের চতুর্থ স্থানে রয়েছে তারা। এক ম্যাচ কম খেলে সমান পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে থাকা কলকাতা হায়দ্রাবাদের থেকে নিট রান রেটে পিছিয়ে রয়েছে।
এদিনের ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন আরসিবি অধিনায়ক বিরাট কোহলি। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের ৪৩ বলে ৭০ রানের অপরাজিত ইনিংসের সুবাদে ৭ উইকেটে ১৭৫ রান করে হায়দরাবাদ। আরসিবি-র হয়ে ওয়াশিংটন সুন্দর তিনটি এবং নবদীপ সাইনি দু’টি উইকেট নেন।
রান তাড়া করতে নেমে ব্যাঙ্গালোরের ব্যাটিং শুরুতেই নড়বড় করতে থাকে। পার্থিব প্যাটেল শূন্য রানে আউট হন। বিরাট কোহলি ১৬ ও এবি ডিভিলিয়ার্স ১ রান করে ফেরেন। ২০ রানের মধ্যে তিনটি উইকেট পড়ে ব্যাঙ্গালোর তখন রীতিমতো ধুঁকছে।
এই অবস্থায় ইনিংসের হাল ধরেন শিমরন হেতমায়ের ও গুরকিরত মান সিং। দুজনে অনবদ্য ১৪৪ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। ৪৭ বলে ৭৫ করেন শিমরন। আর গুরকিরত করেন ৪৮ বলে ৬৫ রান।
এই দুই ব্যাটসম্যানের জুটিতে ১৪৪ রান যোগ হয়। তাঁরা ফিরে যাওয়ার পর ওয়াশিংটন সুন্দরও (০) ফিরে যাওয়ায় ফের চাপে পড়ে গিয়েছিল আরসিবি। তবে শেষ ওভারের প্রথম দু’টি বলে চার মেরে দলকে জয় এনে দেন উমেশ যাদব।