১৯৯১ সালে কোন রকম প্রস্তুতি না থাকায় কারণে পাঁচ লাখ মানুষ নিহত হয়েছিল কিন্তু এবার প্রস্তুতি নেওয়ার কারণেই ক্ষয়ক্ষতি খুব কম হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু।
আজ আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ঘূর্ণিঝড় ফণীর ক্ষয়ক্ষতি ও ত্রাণবিতরণ কমিটির মিটিং শেষে সংবাদ সম্মেলন একথা বলেন তিনি।
আমু বলেন, সরকার ও আওয়ামী লীগ তৎপর থাকায় ঘূর্ণিঝড় ফণীতে ক্ষয়ক্ষতি খুব কম হয়েছে। ঝড়ের আভাস পেয়েই সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা এবং অন্যান্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়। আওয়ামী লীগ থেকেও একই ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল।
তিনি বলেন, আজ যারা বড় বড় কথা বলে তারা তাদের অভিজ্ঞতার কথা বলেন। সেই সময় বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারসহ পাঁচ কোটি টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সুতরাং তাদের যে কথা, এটা তাদের অভিজ্ঞতার কথা।
আমু বলেন, আগামীকাল সোমবার সকাল থেকে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় গিয়ে দলীয় ত্রাণ কার্যক্রম এবং সরকারের ত্রাণ বিতরণের কার্যক্রম পর্যাবেক্ষণ করবো।
তিনি আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফণী বাংলাদেশ যতটুকু আগাত হানার ততটুকু না আনায় আমরা কিছুটা স্বতিতে আছি। দুঃখ জনক হলেও সত্য কয়েকটি জায়গায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সরকারের পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রাণ বিতরণ আর নেত্রী নির্দেশে দলীয় নেতাকর্মী ও স্থানীয় সাংসদরা ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। সরকার ও দলের পক্ষ থেকে সকল ধরনের সহযোগিতা ও ত্রাণ বিতরান কার্যক্রমের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যতটুকু সহযোগিতা করার প্রয়োজন আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকালকেও ফোন দিয়ে খোঁজখবর নিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের অভিজ্ঞগতা হলো, নেত্রীর নির্দেশে অত্যন্ত সুন্দরভাবে বিগতদিনের ন্যায় এবারও মানুষকে বাঁচানোসহ ক্ষয়ক্ষতি রোধে প্রস্তুতি নিয়েছিলাম।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ফণী আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পর্যবেক্ষণ ও দলের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণের জন্য কেন্দ্র থেকে দুইটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটির নেতৃবৃন্দ আজকেই রওয়ানা দিবেন। আগামী কাল থেকে ত্রাণ বিতরণের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করবেন।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নোয়াখালীর সুর্বণচরে দলের ভারপ্রাপ সাধারণ সম্পাদকের মাহবুব উল আলম হানিফের নেতৃত্বে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীসহ বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা ত্রাণ বিতরণের কার্যক্রম বিতরণ করবেন।
সংবাদ সম্মেলন আরো উপস্তিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাসিম, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত নন্দি রায়, আওয়ামী কেন্দীয় কমিটির সদস্য এস এম কামাল প্রমূখ।
অপর দিকে দলের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু'র নেতৃত্বে সাংগঠনিক সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আফজাল হোসেন বরগুনার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যাবেন।