ভাত বাঙালিদের প্রিয় এবং প্রধান খাদ্য। ভাত ছাড়া বাঙালিদের বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে যায়। কিন্তু আশ্চর্যজনক হলেও সত্য ময়মনসিংহের নান্দাইলের শামীম নামের এক যুবকের পেটে ৩২ বছর ধরে কোন ভাত পড়েনি।
জানা যায়, ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার মুশুলী ইউনিয়নের মেরেঙ্গা গ্রামের সাইদুর রহমান খানের ছেলে শামীম খান। জন্মের পর থেকেই ভাতের স্বাদ ভোগ করতে পারেননি তিনি। তার পেটে ভাত পড়লেই সঙ্গে সঙ্গে বমি হয়ে যায়। এ যেন এক সৃষ্টিকর্তার অন্য লীলা খেলা। ভাত ছাড়া অন্যান্য খাদ্য খেয়ে বেঁচে আছেন শামীম।
এলাকাবাসী জানায়, ছোটকাল থেকেই শামীম অন্যদের মতো নয়। আটা রুটি ও ফলমূল খেয়ে জীবন ধারণ করছেন তিনি। তবে ১২ মাসের ১০ মাসই তিনি অসুস্থ থাকেন। কবিরাজি, ভেষজ, হারবালসহ বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি গ্রহণ করলেও ভাতের স্বাদ ভোগ করতে পারেননি শামীম।
শামীমের মা মোছা. মনোয়ারা বেগম বলেন, ভাত খাওয়ানোর জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি গ্রহণ করেও কোনো কাজ হচ্ছে না। আমার সন্তানের আশা ভাতের স্বাদ ভোগ করার। কিন্তু ভাত তার নাকের কাছে নিলেই তার কাছে দুর্গন্ধ লাগে। যার ফলে সে তা খেতে পারছে না।
বর্তমানে শামীম খানের এক ছেলে ও এক মেয়েসহ স্ত্রী নিয়ে বাড়িতে অবস্থান করছেন। অন্যের জমিতে চাষাবাদ ও দিনমজুরি করে তার সংসার চলে। অর্থাভাবে তিনি উন্নত চিকিৎসা করাতে পারছেন না।
স্থানীয় প্রবীণ ব্যক্তি সুলতান উদ্দিন জানায়, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। সে ভাত ও মাছ খেতে পারে না যার ফলে সে দিন দিন অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডা. কাজী এনামুল হক জানায়, ভাত না খেয়েও অন্যান্য খাদ্য খেয়ে বেঁচে থাকা যায়। পরিপাকতন্ত্রের গোলযোগ থাকার কারণে তার পেটে ভাত সহনীয় নয় বলে তা খেতে পারছেন না শামীম। তার উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন।