কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদীতে একটি যাত্রীবাহী বাসে শাহিনুর আক্তার তানিয়া (২৪) নামে এক নার্সকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার (৬ মে) রাত সাড়ে ৮টায় ভৈরব-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের গজারিয়া জামতলী নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। নার্সকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে চালক ও সহকারীকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত শাহিনুর কটিয়াদী উপজেলার লোহাজুরী ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের মেয়ে।
এব্যাপারে কটিয়াদি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম জানান, সোমবার বিকালে ঢাকার মহাখালী থেকে স্বর্ণলতা পরিবহনের একটি বাসে করে কটিয়াদি ফেরার পথে তাকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ পেয়েছেন তারা।
নিহত শাহিনুর আক্তার তানিয়া (২৩) কটিয়াদি উপজেলার লোহাজুড়ি ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের মেয়ে। তিনি রাজধানী ঢাকায় ইবনে সিনা হাসপাতালে নার্স হিসাবে কর্মরত ছিলেন বলে পরিবার জানিয়েছে।
পুলিশ প্রাথমিক তদন্তের তথ্য দিয়ে বলছে, বাসটি রাত সাড়ে ৯টার দিকে কটিয়াদি আসার পর তানিয়া ও অন্য দুই যাত্রী ছাড়া সবাই নেমে যায়। উজানচর এলাকায় ওই দুই যাত্রীও নেমে যায়। বাসটি গজারিয়া এলাকায় পৌছালে চালক ও সহকারী তাকে ধর্ষণ শেষে হত্যা করে রাস্তায় ফেলে দেয়। সেখান থেকে এলাকাবাসী তাকে কটিয়াদি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তানিয়ার বড় ভাই বাদল মিয়ার অভিযোগ, ধর্ষণের পর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে তার বোনকে হত্যা করা হয়েছে।
পরিদর্শক শফিকুল বলেন, এ ঘটনায় চালক নূরুজ্জামান ও সহকারী লালু মিয়াকে আটক করা হয়েছে। আর তানিয়ার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ সরদর হাসহাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।