Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৫ শনিবার, জুলাই ২০২৫ | ২০ আষাঢ় ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

সরকারি দল হেরেছে বলে আবার নির্বাচন!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭ মে ২০১৯, ০৫:২৮ PM
আপডেট: ০৭ মে ২০১৯, ০৫:২৮ PM

bdmorning Image Preview


গত মার্চে তুরস্কের ইস্তাম্বুলের স্থানীয় নির্বাচনে সরকারি দলের প্রার্থীকে অল্প ব্যবধানে হারিয়ে চমক দেখায় বিরোধী দল। এই অল্প ব্যবধানের বিষয়টিকে সামনে এনে নির্বাচনে ‘অনিয়ম ও দুর্নীতির’ অভিযোগ তোলে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের দল জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (এ কে পার্টি)। সরকারি দলের এমন অভিযোগকে আমলে নিয়ে ইস্তাম্বুলে পুনর্নির্বাচনের নির্দেশ দিয়েছে দেশটির নির্বাচন কমিশন। আগামী ২৩ জুন তুরস্কের সবচেয়ে বড় শহরটিতে পুনরায় ভোট হবে।

আজ মঙ্গলবার বিবিসি অনলাইনের খবরে জানানো হয়, ৩১ মার্চ তুরস্কজুড়ে পৌর নির্বাচন হয়। দেশের প্রবল অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে এই নির্বাচনকে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের নেতৃত্বের বিষয়ে গণভোট হিসেবে দেখা হয়। যদিও সরকারি দল নেতৃত্বাধীন জোট ৫১ শতাংশ ভোট পেয়ে দেশজুড়ে জয় পেয়েছে। ধর্মনিরপেক্ষ দল সিএইচপি (রিপাবলিকান পিপলস পার্টি) রাজধানী আঙ্কারা, ইজমের ও ইস্তাম্বুলে জয় পেয়েছে বলে দাবি করে। প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান এক সময় ইস্তাম্বুলের মেয়র ছিলেন। ফলাফল ঘোষণার পর থেকে সরকারি দল আঙ্কারা ও ইস্তাম্বুলের ফল চ্যালেঞ্জ করে আসছে। আর বিরোধী দল অভিযোগ করছে, সরকারি দল ভোট চুরির চেষ্টা করছে।

ইস্তাম্বুলে পুনর্নির্বাচনের ঘোষণায় সিএইচপির ডেপুটি চেয়ারপারসন ওনুরসাল আদিগুজেল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, পুনর্নির্বাচনের মাধ্যমে বোঝানো হলো এ কে পার্টির বিরুদ্ধে জয়লাভ করাটাই ছিল অবৈধ। আদিগুজেল টুইটে বলেন, ‘এটা সোজাসাপটা স্বৈরতন্ত্র। এই পদ্ধতি জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে অগ্রাহ্য করে এবং আইনকে উপেক্ষা করে যেটা না গণতান্ত্রিক, না বৈধ।’

নির্বাচনী বোর্ডে এ কে পার্টির প্রতিনিধি রিসেপ ওজেল বলেন, পুনর্নির্বাচন দেওয়ার কারণ হচ্ছে, নির্বাচনের দিন দায়িত্ব পালন করা কিছু কর্মকর্তা সরকারি চাকুরে ছিলেন না। আর বেশ কিছু ফলাফলের শিটে সই করা ছিল না। 

প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান একসময় ইস্তাম্বুলের মেয়র ছিলেন। ছবি: রয়টার্সগত এপ্রিল মাসে সিএইচপির প্রার্থী একরেম ইমামগ্লুকে আনুষ্ঠানিকভাবে ইস্তাম্বুলের মেয়র ঘোষণা করা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত বক্তব্যে একরেম পুনরায় ভোট গ্রহণের ঘোষণার নিন্দা জানিয়ে বলেন, নির্বাচনী বোর্ড শাসক দলের মাধ্যমে প্রভাবিত হয়েছে। সমবেত সমর্থকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের নীতি বিসর্জন দেব না। এই দেশ ৮ কোটি ২০ লাখ দেশপ্রেমিকে ভর্তি, যাঁরা লড়াই করবেন...গণতন্ত্রের শেষ মুহূর্তু পর্যন্ত।’

ওই সময় ইমামগ্লুর সমর্থক গ্রুপ লোকজনকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে বলে, ‘আসুন একসঙ্গে দাঁড়াই, শান্ত হই...আমরা জয়ী হব, আমরা আবার জয়ী হব।’

Bootstrap Image Preview