শ্রীলঙ্কার ইস্টার সানডের বোমা হামলাকারীদের অধিকাংশের নেটওয়ার্ক গুঁড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে তদন্তকারীরা। তবে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সন্ত্রাসীদের আরও হামলার আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী।
মঙ্গলবার (৭ মে ) প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে সতর্ক বানী দিয়ে একথা বলেন।
তিনি বলেছেন, ২১ এপ্রিলের বোমা হামলায় ৪২ বিদেশি নাগরিকসহ ২৫০ জন নিহত হয়েছেন। এই বোমা হামলার সঙ্গে জড়িত ষড়যন্ত্রকারীদের সঙ্গে যাদের সম্পর্ক রয়েছে তাদের ধরতে সক্ষম হয়েছে সরকার। এই হামলার পর নতুন সন্ত্রাস বিরোধী আইন চালু করার পরিকল্পনা চলছে।
রনিল বিক্রমাসিংহে আরও বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিকজ করার জন্য আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। কিন্তু আমাদের এটা মনে রাখা উচিত যে, এখনো হুমকি শেষ হয়ে যায়নি, কারণ এটি একটি বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদের বিষয়।
দেশটির সেনাবাহিনীর একটি সূত্র ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেছে, তদন্তকারীরা এখনও বোমা হামলার সঙ্গে জড়িত আরো গুরুত্বপূর্ণ ১০ হোতাকে খুঁজছে। তদন্তে দেখা গেছে, সেখানে আরো ৮ থেকে ১০ জন অন্য ষড়যন্ত্রকারীদের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন।
পুলিশ বলছে, ২১ এপ্রিলের বোমা হামলাকারী ও ষড়যন্ত্রকারীদের প্রায় ৪০ মিলিয়ন ডলারের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক অডিও বিবৃতিতে পুলিশের প্রধান চন্দনা বিক্রমারত্নে বলেছেন, হামলার সঙ্গে জড়িত প্রায় সব সন্দেহভাজন হামলাকারী এবং ষড়যন্ত্রকারী অভিযানে নিহত অথবা গ্রেফতার হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ষড়যন্ত্রকারীদের মধ্যে অন্তত দুইজন বোমা বিশেষজ্ঞ ছিলেন; যারা অভিযানে মারা গেছেন। তারা আরও হামলা চালানোর জন্য বিস্ফোরক মজুদ করেছিল, আমরা সেগুলো জব্দ করেছি।
লঙ্কান কর্তৃপক্ষ ইস্টার সানডের ওই বোমা হামলার সঙ্গে স্থানীয় চরমপন্থী মৌলবাদী গোষ্ঠী ন্যাশনাল তৌহিদ জামায়াত ও জামাতে মিল্লাথু ইব্রাহীম জড়িত বলে দাবি করে আসছে। তবে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) হামলার দায় স্বীকার করে বলেছে, খিলাফতের সৈনিকরা শ্রীলঙ্কায় গীর্জা ও বিলাসবহুল হোটেলে আত্মঘাতী বোমা হামলায় অংশ নিয়েছে।