কৃষকের জন্য সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন কৃষককে বাঁচাতে হবে, কৃষককে লাভবান করতে হবে। তাই বোরো চাল রফতানির চিন্তা-ভাবনা করছে সরকার।
মঙ্গলবার (৭ মে) সচিবালয়ে ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে ফসলের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি ও গৃহীত পদক্ষেপ নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বোরো ধান কাটা শেষ হলে সবার সঙ্গে আলোচনা করে আগামী ২০ দিনের মধ্যে চাল রফতানি করা হবে কি-না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এখন আমাদের চাল উদ্বৃত্ত আছে। ৫-১০ লাখ টন চাল রফতানি করলে তেমন কোনো অসুবিধা হবে না। রফতানি করলে দেশের ভাবমূর্তি বাড়বে।
তিনি আরও বলেন, কৃষক বোরো ধান ঘরে তুলতে পারলে অবশ্যই উদ্বৃত্ত হবে। এই উদ্বৃত্তের কিছুটা হলেও আমরা নিজের সিকিউরিটির জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত রেখে বিদেশে রফতানি করতে পারি।
দেশে চাহিদার তুলনায় চালের মজুত বেশি এমন তথ্য তুলে ধরে গত ১৮ এপ্রিল বাণিজ্যমন্ত্রীর কাছে চাল রফতানির প্রস্তাব দিয়েছেন চালকল মালিকরা। চাল রফতারি না করলে কৃষকরা ধানের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হবে বলেও যুক্তি দিয়েছেন তারা।
এ প্রস্তাবে সম্মতি না দিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, দেশে ধান-চালের উৎপাদন ও চাহিদা সম্পর্কে কৃষি ও খাদ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।