দেশের দ্বিতীয় বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রাম নগরের বেশিরভাগ এলাকায় দেখা দিয়েছে পানির তীব্র সংকট। কোথাও পানি মিলে সপ্তাহে তিন দিন, কোথাও মিলে না পুরো সপ্তাহেও। কোথাও পানির দেখা মিললেও তা পানের উপযোগী নয়, থাকে দুর্গন্ধও। সবমিলিয়ে পানি নিয়ে চট্টগ্রামে যেন নাভিশ্বাস কাটছেই না।
চট্টগ্রাম নগরের পাথরঘাটা নজুমিয়া লেন, আশরাফ আলী রোড এলাকায় পানির দেখা মেলে মাঝে মধ্যে। ডবলমুরিং এলাকার ঈদগাহ, ঝর্নাপাড়া, নবী চৌধুরী রোড, বাঁচা মিয়া রোডসহ আশপাশের এলাকায় পানির জন্য থাকে দীর্ঘ লাইন। অভিন্ন চিত্র বারো কোয়ার্টার, সরাইপাড়া, পাহাড়তলী হাজী ক্যাম্প এলাকার।
নচট্টগ্রাম ওয়াসা সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে নগরে দৈনিক পানির চাহিদা ৫০ কোটি লিটার। কিন্তু ওয়াসা সরবরাহ করছে ৩৫ কোটি লিটার। গ্রাহকের অভিযোগ, ওয়াসা সারা বছর প্রকল্প গ্রহণ করে পানি সরবরাহের স্বপ্ন দেখায়। পাঁচ তারকা হোটেলেও নানা কর্মসূচি পালন করে। অথচ তাদের প্রধান কাজ নগরবাসীর প্রয়োজনীয় পানির চাহিদা মেটানো, সেটা যথাযথভাবে পালন করতে সক্ষম হচ্ছে না। এ নিয়ে ওয়াসার কোনো মাথা ব্যথাও দেখা যায় না।
ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী কাজী ইয়াকুব সিরাজউদ্দৌলা বলেন, ‘সংযোগ লাইন সংস্কারের কারণে কয়েকটি এলাকায় রেশনিং করে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। রেশনিং প্রক্রিয়ার কারণে এক এলাকায় হয়তো একদিন পানি দেওয়া যাচ্ছে না।’ তিনি বলেন, ‘রমজানে সাহরি ও ইফতারের সময় প্রয়োজনীয় পানি সরবরাহে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। সবকিছু তদারকি করতে খোলা হয়েছে চারটি কনট্রোল রুম। আমরা চাই, রমজানে মানুষ পানির সংকটে না পড়ুক।’