পাটকেলঘাটার মির্জাপুর বাজারের ব্যবসায়ী ও বারাত গ্রামের নৃপেন্দ্রনাথ দাশের পুত্র মহিতোষ দাশ (৪৫) নিরাপত্তা ও বিভিন্ন ধরনের হয়রানী থেকে পরিত্রাণ পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন পাকেলঘাটা রিপোর্টার্স ক্লাবের সদস্যরা।
এ সময় এক বক্তা বলেন, আমি দীর্ঘদিন যাবত পাটকেলঘাটা থানার মির্জাপুর বাজার সংলগ্ন ইসলামকাটী মোড়ে একটি ভ্যারাইটিজ ষ্টোর সহ রাখী মালামালের ব্যবসা থাকায় বিভিন্ন ক্রেতা-সাধারনের সাথে আমার আর্থিক লেনদেন হয়।
এছাড়া আমার ব্যবসায়ীক সাফল্য দেখে বেশ কিছু শত্রু তৈরী হয়েছে। গত ইং-৫/৫/১৯ রোজ রবিবার প্রতিদিনের ন্যায় আমি রাত ৯টায় দোকান বন্ধ করে আমার কর্মচারী বিনোদ বিহারী দাশের পুত্র শম্ভ দাশ (২৭) এর সাথে বাড়ী চলে যায়।
যথারীতি পরদিন সোমবার সকালে আমি এবং আমার কর্মচারী সকাল সাড়ে ৭টায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করি। দোকানে কেনাবেচা চলাকালে পাটকেলঘাটা থানা পুলিশ এসে আমার দোকান তল্লাসী করতে চায় এবং বলে যে আপনার দোকানে মাদক রয়েছে।
এসময় আমি প্রশাসনকে দোকান ঘর তল্লাশী কাজে সহয়তা করি। পুলিশ আমার দোকান ঘরের সিলিং এর উপর থেকে একটি কালো রং এর ব্যাগ উদ্ধার করে যার ভেতর ৮ বোতল ফেন্সিডিল ছিল । অবশ্য এই বিষয়ে আমার কোন ধারনাই ছিল না। আমার ধারনা,ঘরের শার্টারের সামনের বক্স না থাকায় চাল এবং দেয়ালের মাঝখানের ফাঁকা দিয়ে দোকান ঘরের ভেতরের সিলিং এর উপর অভিনব কায়দায় ৮ বোতল ফেন্সিডিল কে বা কারা রেখে আমার ফাঁসানোর চেষ্টা করেছে।যেটা ছিল সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে সাজানো।
এ সময় কর্তব্যরত পুলিশ অফিসার বিষয়টি (পরিকল্পিতভাবে সাজানো) বুঝতে পেরে পাটকেলঘাটা থানা অফিসার ইনচার্জ রেজাউল ইসলাম কে অবহিত করেন। তৎক্ষনাত তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং বিষয়টি বোঝেন। এসময় তালা সার্কেল হুমায়ন কবির সাহেব ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং বিভিন্ন ভাবে পরিক্ষা নিরিক্ষা, তথ্য উপাথ্য সংগ্রহের পর ভালভাবে বুঝতে পারেন যে, ঘটনাটি সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে সাজানোর মাধ্যমে ফাঁসানোর চেষ্টা। সাধারণ মানুষ হিসাবে পুলিশ বাহিনীর নিকট আমি কৃতজ্ঞ কারণ তারা প্রকৃত অবস্থা অনুধাবন করে আমাকে কোন প্রকার হয়রানি করেনি।
আমি এখন শংকিত যে, ভবিষ্যতে আমার নিরাপত্তা, জানমাল ও সুনাম নষ্টের জন্য ঘটনা এবং রটনার জন্ম দিতে পারে। সুতরাং আমি উক্ত ঘটনার তদন্তপূর্বক প্রশাসনের কাছে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আবেদন জানাচ্ছি।