নরেন্দ্র মোদিকে কটাক্ষ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, স্ত্রীর খবর রাখেন না দেশ সামলাবেন কীভাবে? বাংলার মানুষের খেয়াল রাখবেন কেমন করে। দিল্লিতে বসে দালালি করেন না। মানুষকে নিয়ে ভাবেন।
পুরুলিয়ার কোটশিলায় নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে মমতা বলেন, আগে জঙ্গলে পা রাখতে ভয় পেতেন মানুষ। আমার সরকারই সেখানে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছে। ১৯৯০ থেকে ২০১১ সালে আমাদের সরকার আসার আগ পর্যন্ত এই পরিবেশ ছিল জঙ্গলমহলের সর্বত্র। শান্তি প্রতিষ্ঠা করে দেখিয়েছি আমরা।
পশ্চিম বঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী বলেন, উৎকর্ষ বাংলা প্রকল্পে ৬ লাখ ছেলেমেয়েকে প্রশিক্ষণ দেয়ার ব্যবস্থা করেছি। সেখান থেকে ১০ হাজার ছেলেমেয়ে চাকরি পেয়েছে। আগামীতে জনগণের সহযোগিতায় আরও ভালো কিছু করতে চাই।
মমতা বলেন, ‘বিজেপি সরকার বহুবার পেট্রল-ডিজেলের দাম বাড়িয়েছে। সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার করছে। নরেন্দ্র মোদিকে ভোট কেন দেবেন? প্রধানমন্ত্রী হয়ে গ্যাসের দাম ১০০০ করে দিয়েছিলেন। আমাদের চিৎকারে কমিয়ে ৮০০ টাকা করেছে।’
১৯৯০ থেকে ২০১১ সালে আমাদের সরকার আসার আগে পর্যন্ত এই পরিবেশ ছিল। সর্বত্র শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছি আমরা। আগে পুরুলিয়া থমথমে ছিল। মানুষ ভয়ে থাকতেন। চারদিকে আতঙ্কের পরিবেশ ছিল।
নরেন্দ্র মোদীর উদ্দেশে তার ‘গণতন্ত্রের থাপ্পড়’ মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক চলছেই। তার মধ্যেই এ দিন ফের নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, ‘মনোনয়ন জমা দেয়ার সময় স্ত্রী-র সম্পর্কে কোনো তথ্য দিতে পারেননি। যিনি নিজের স্ত্রীর খবর রাখেন না, তিনি দেশের মানুষকে দেখবেন কী ভাবে?
বিজেপিকে কটাক্ষ করে মমতার নির্বাচনী প্রচারণায় বিভিন্ন স্লোগান ব্যবহার করা হচ্ছে:
বিজেপি যতই চমকাক, নরেন্দ্র মোদী যতই ধমকান, ওদের ভোট দেবেন না।
আগে ছিলেন চা-ওয়ালা। এখন হয়েছেন চৌকিদার। প্রধানমন্ত্রী পদে বসে খামোকা চৌকিদার হওয়ার শখ কেন?
মনোনয়নপত্রে স্ত্রীর ব্যাপারে কিছুই জানাতে পারেননি। স্ত্রীর খবর রাখেন না মোদী। তিনি দেশের মানুষকে দেখবেন কী ভাবে?
শুধু নরেন্দ্র মোদী একা থাকবেন, আর বিজেপির গুন্ডারা থাকবে, তা হতে দেব না।