Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৬ মঙ্গলবার, মে ২০২৫ | ২৩ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

মেয়ে ধর্ষণের দায়ে গাইবান্ধার ইউপি সদস্য আটক

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯ মে ২০১৯, ১২:২৯ PM
আপডেট: ০৯ মে ২০১৯, ১২:২৯ PM

bdmorning Image Preview
প্রতীকী ছবি


সৎ বাবার লালসার শিকার হয়ে ১৫ বছরের কিশোরীর গর্ভধারণ। এ ঘটনার পর কৌশলে মেয়েটির গর্ভপাত করানো পরে আবার তাকে ধর্ষণ করে পুনরায় গর্ভধারণ করার মত ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে।

এ ঘটনায় থানায় দুটি মামলা দায়ের সহ অভিযুক্তদের আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে সাদুল্লাপুর থানা পুলিশ।

এলাকাবাসী ও মামলা সূত্রে জানা যায়, গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলার ৮নং ভাতগ্রাম ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ইদ্রিস আলী ওরফে চেংটু (৪৮) গত ২০১৮ সালের প্রথম দিকে শিউলী বেগম নামের এক মহিলাকে দ্বিতীয় বিয়ে (নিকাহ) করেন।

জানা জায়, শিউলী বেগমের আগের স্বামীর ঘরে ১৫ বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তান ছিল। শিউলী ও চেংটু উভয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলে, শিউলীর পূর্বের স্বামীর ঘরে জন্ম নেয়া ১৫ বছরের মেয়েকে নিয়ে সদ্য বিয়ে করা স্বামী চেংটু মিয়ার বাড়ি টিয়াগাছা গ্রামে বসবাস করতে থাকে। এই সুযোগে লম্পট চেংটু মেম্বার (সৎ বাবা) তার স্ত্রীর আগের স্বামীর ঘরের কিশোরী মেয়ের প্রতি লোলুপ দৃষ্টি পড়ে।

মেয়েটি সৎ বাবার লালসার শিকার হয়ে দিনেরপর দিন হুমকি ধামকীর মুখে ধর্ষিত হতে থাকে। এতে করে মেয়েটি ২ মাসের গর্ভবতী হয়ে পড়ে। প্রায় তিন মাস আগে লম্পট চেংটু সুকৌশলে বিভিন্ন কবিরাজ ও চিকিৎসকের সহযোগীতায় গাছ-গাছান্তসহ বিভিন্ন ওষুধ খাইয়ে মেয়েটির গর্ভপাত ঘটায়।

এরপরে মেয়েটির উপর লোলুপ দৃষ্টি পরে দক্ষিণ সনতলা গ্রামের আবুল হোসনের ছেলে লম্পট মাসুদ মিয়ার (১৬)। পরে ইদ্রিস আলী চেংটু মেম্বার ও মাসুদ মিয়া দুজনে মিলে মেয়েটিকে ব্লাকমেইল করে বিভিন্ন প্রলোভন, ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে দিনের পরে দিন দৈহিক মেলামেশায় লিপ্ত হয়। এতে করে চেংটু ও মাসুদ দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয়ে মেয়েটি পুনরায় গর্ভবতী হয়ে পড়ে।

আর এই সুযোগকে কাজে লাগানোর জন্য চেংটু মেম্বার নিজের অপরাধের কথা গোপন করে গত ৩ মে মেয়েটিকে সঙ্গে নিয়ে সাদুল্লাপুর থানায় মাসুদকে আসামি করে মামলা দায়ের করতে যায়।

এ সময় সাদুল্লাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ভিকটিমের সাথে কথপোকথনকালে বেড়িয়ে আসে এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য। মেয়েটি নিজের সাথে ঘটে যাওয়া সকল সত্য ঘটনা অকপটে স্বীকার করে ওসির কাছে।

এতে করে সৎ মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ করতে এসে ফেঁসে যায় (সৎ বাবা) ইদ্রিস আলী চেংটু মেম্বারসহ অপর লম্পট ধর্ষণকারী মাসুদ মিয়া।

এ বিষয়ে একই দিনে সাদুল্লাপুর থানায় ধর্ষণের শিকার মেয়েটি বাদী হয়ে সৎ বাবা ও অপর ধর্ষণকারী মাসুদকে আসামি করে দুটি পৃথক মামলা দায়ের করে।

সাদুল্লাপুর থানার ওসি আরশেদুল হক এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বিডি২৪লাইভকে বলেন, মেয়েটি স্বীকার করেছে এই ন্যাক্কারজনক ঘটনায় সৎ বাবা চেংটু ও মাসুদ জড়িত। তাই তাদের বিরুদ্ধে থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করে তাদেরকে আটকপূর্বক জেল হাজতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।

Bootstrap Image Preview