নতুন আরেক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে ঢাকা-বরগুনা রুটে চলাচলরত যাত্রীবাহী বাস ‘সুগন্ধা পরিবহন’। বুধবার সন্ধ্যায় বরগুনা থেকে ঢাকা নেয়ার জন্য যাত্রীদের সঙ্গে অর্ধশত খাসি সুগন্ধা পরিবহণের একটি বাসে তোলা হয়। এরপর সেই বাস যাত্রা শুরু করে ঢাকার উদ্দেশ্যে।
সুগন্ধা পরিবহনের বরগুনার কাউন্টার সূত্রে জানা গেছে, ঢাকায় ছাগল নিয়ে যাওয়া ওই বাসে ২৮ জন যাত্রী ছিলেন। এই যাত্রীদের সিংহভাগেরই গন্তব্য ছিলো ঢাকা। এবং এই বাসে ৪০টি খাসি ঢাকা নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে এ বিষয়ে ওই বাসের যাত্রীদের মন্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
বরগুনার নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ কমিটির সহ-সভাপতি মনির হোসেন কামাল বলেন, ‘বাস যাত্রী পরিবহনের জন্য। এ পরিবহন শুধু যাত্রীদেরই বহন করবে। এ বাহনে গরু-ছাগল বহন করার সুযোগ নেই। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পাশাপাশি এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
বগুনার জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ বলেন, ‘বাসে ২৮ জন যাত্রীর সাথে ৪০টি খাসি ঢাকা নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি আমার জানা ছিলো না। আমি শিগগিরই এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’
এ বিষয়ে সুগন্ধা পরিবহণের বরগুনা কাউন্টারের ম্যানেজার মোঃ সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘বাসে ২৮ জন যাত্রী ছিলো এবং এই বাসে করেই ৪০টি খাসি ঢাকা নেয়ো হয়েছে। তিনি আরো বলেন, আগামীকাল শুক্রবার ঢাকায় সুগন্ধা পরিবহনের ইফতার মাহফলি অনুষ্ঠিত হবে। সেই ইফতার মাহফিলের জন্য খাসিগুলো বাসের বক্সে করে ঢাকায় নেয়া হয়েছে।’
সড়কে প্রকাশ্যে পুলিশের এসআইকে পেটালেন বাবা-ছেলে
গাজীপুরের শ্রীপুর পৌর মধ্যবাজার এলাকায় সড়ক থেকে পিকআপ সরাতে বলায় শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক আহসানুজ্জামানকে পিটিয়েছে বাবা ও দুই ছেলে। এ ঘটনায় তাদের আটক করেছে শ্রীপুর থানা পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন- শ্রীপুর পৌর এলাকার লোহাগাছ গ্রামের মৃত রহমত উল্লাহর ছেলে ইকবাল হোসেন সরকার (৪৮), ইকবাল হোসেন সরকারের ছেলে তুষার হোসেন সরকার (৩০) ও মাকসুদুল হাসান (১৬)। তাদের বিরুদ্ধে শ্রীপুর থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।
শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আহসানুজ্জামান জানান, বৃহস্পতিবার ইফতারের পূর্বমুহূর্তে শ্রীপুর মধ্যবাজার সড়কে এক পিকআপ চালককে মারধর করেছিল অভিযুক্তরা। সড়কে পিকআপ থাকায় দীর্ঘ যানজট তৈরি হওয়াতে ইফতার পূর্বমুহূর্তে মুসল্লিদের সমস্যা তৈরি হচ্ছিল।
পরে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে মারধরের কারণ জানতে চান এবং সড়ক থেকে পিকআপ গাড়িটি সরিয়ে নেয়ার অনুরোধ করেন। এ সময় বাবা-ছেলে তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে মারধর শুরু করেন। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে তারা চলে যায়।
তবে অভিযুক্ত তুষার সরকার জানান, পুলিশ সাধারণ পোশাকে ছিল। আমরা বুঝতে পারিনি। তবে তিনি ঘটনাস্থলে এসে আমার বাবাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এ সময় তা প্রতিহত করতে গিয়ে সামান্য হাতাহাতি হয়।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদুল ইসলাম ঘটনায় সত্যতা স্বীকার করে জানান, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে তাদের তিনজনকে আটক করা হয়েছে। বাবা-ছেলের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।