নোয়াখালীর হাতিয়ায় স্বামীর ২য় বিবাহের প্রতিবাদ করায় স্বামী নুর উদ্দিন ও তার বড় ভাই নুর ইসলাম কর্তৃক অমানবিক শারিরীক নির্যাতনের শিকার হয়ে ঘর ছাড়া হয়েছেন ৫ সন্তানের জননী ঝর্না বেগম।
বুধবার (৮ মে) দুপুরে উপজেলার ২নং চানন্দী ইউনিয়নের চৌধুরীগ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ভিকটিম সূত্রে জানা যায়, চানন্দী ইউনিয়নের দক্ষিণ চৌধুরি গ্রামের বাসিন্দা মৃত মোবাশ্বর আহাম্মদের পুত্র নুর উদ্দিন গত তিন বছর আগে ৫ সন্তান ও স্ত্রীকে রেখে চট্টগ্রাম গিয়ে প্রথম স্ত্রীর অমতে আরেকটি বিয়ে করে। প্রথম স্ত্রী ঝর্না বেগম ৩ বছর যাবৎ স্বামীর খোঁজ খবর না পেয়ে নিরুপায় হয়ে ৫ সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করে।
এদিকে নুর উদ্দিনের ভাই নুর ইসলাম জবর দখলের উদ্দেশ্যে ঝর্না বেগম ও তার সন্তানদের বসতভিটা থেকে উচ্ছেদের পাঁয়তারা করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় নুর উদ্দিন তার ভাইয়ের যোগসাজসে বাড়িতে গিয়ে বসত বাড়িঘর বিক্রির চেষ্টা করে।
স্ত্রী ঝর্না বেগম ৫ সন্তানের ভরণপোষণ দাবী করে এবং স্বামীর ২য় বিবাহের প্রতিবাদ করায় তাৎক্ষণিক নুর উদ্দিন ও তার ভাই নুর ইসলাম সহ কয়েকজন সঙ্গীয় কয়েকজন সন্ত্রাসী মিলে ঝর্না বেগম ও তার কিশোরী কন্যা সুমীকে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করে এবং ঘর থেকে বের করে দেয়। ঝর্না বেগম ও তার মেয়ে সুমী বর্তমানে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছে।
এই বিষয়ে হাতিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিসান আহম্মেদ জানান, ঘটনার বিষয়ে ঝর্না বেগম লিখিত অভিযোগ করেছেন। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।