কালের বিবর্তনে পাটকেলঘাটা থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে বাঙ্গালী জাতির অস্তিত্ব, ইতিহাস আর সংস্কৃতির সাথে মিশে থাকা ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলা। তবে ঈদ, পহেলা বৈশাখ, পৌষ-পার্বনসহ বাঙ্গালির প্রাণের নানা উৎসবে দেখা মেলে লাঠিখেলার।
খেলা দেখতে উপচেপড়া ভিড় জমে নানা বয়সী মানুষের। সাতক্ষীরা জেলার পাটকেলঘাটা এলাকায় আগের মতো লাঠিখেলার দেখা না মিললেও ঐতিহ্য আর সংস্কৃতির ধারক হিসেবে থানার জুজখোলা, কুমিরা, ভারসা, সৈয়দপুর, সরুলিয়া, নগরঘাটা, ধানদিয়াসহ কয়েকটি এলাকার লাঠিয়াল দল এখনও ধরে রেখেছেন গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী এই খেলাটি।
প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে লাঠিখেলাকে টিকিয়ে রাখার দাবি সবার। জীবনের প্রয়োজনেই বাঁশের লাঠি হাতে তুলে নিয়েছিলো মানুষ। কখনো প্রতিপক্ষকে আঘাত করতে, কখনোবা হিংস্র জীব-জন্তুকে প্রতিরোধ করতে লাঠি চালানোর নানামাত্রিক কৃতকৌশল আবিস্কার করেছিলো মানুষ।
কালক্রমে সেই বাঁশের লাঠিই লাঠিয়াল নামে বাংলার ঐতিহ্যবাহী পেশাজীবীর সৃষ্টি হয়েছিলো। কালের বিবর্তনে সমাজ জীবন থেকে সেই লাঠিয়াল বাহিনীর বিলুপ ঘটলেও রূপান্তর ঘটিয়ে লোক ও ধর্মীয় ঐতিহ্যে স্থান করে নেয় লাঠিখেলা।
পাটকেলঘাটার লাঠিয়াল দলের নেতা সোবহান শুক্রবার জানান ‘আগের মতো লাঠিখেলা হয় না। আমরা মনের টানে নিজেরা লাঠিখেলা দেখিয়ে আনন্দপাই। আয়োজকরা অনেক সময় খুশি হয়ে আমাদের বিভিন্ন পুরস্কার দেন। এর বাইরে আসলে আমরা কোনো ধরনের সাহায্য সহযোগিতা পাই না’।