ইরানি কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করে সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি লোগান আইন লঙ্ঘন করেছেন বলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে অভিযোগ করেছিলেন তা নাকচ করে দিয়েছেন কেরি।
তিনি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানের পরমাণু সমঝোতা থেকে সরে যাওয়ার পর তিনি ইরানি কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ বা কোনো রকমের আলোচনা করেননি।
জন কেরি এসময় ইরানের পরমাণু সমঝোতাকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে স্বচ্ছ ও শক্তিশালী পরমাণু চুক্তি’হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি এই চুক্তি থেকে ট্রাম্পের বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্তেরও কড়া সমালোচনা করেছেন।
প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন জন কেরি। ওবামার শাসনামলে ২০১৫ সালের জুলাই মাসে ইরান ও ৬ জাতির (যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, চীন ও রাশিয়া) মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ পরমাণু সমঝোতা স্বাক্ষরিত হয়।
কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের মাত্র এক বছর পর (২০১৮ সালের মে মাসে) ওই চুক্তি থেকে একতরফাভাবে বেরিয়ে আসে যুক্তরাষ্ট্র।
সাম্প্রতিক সময়ে ট্রাম্প অভিযোগ করে বলেছেন, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি ইরানের সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ রক্ষা করছেন এবং তিনি তেহরানকে ট্রাম্পের শাসনামল শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছেন। ট্রাম্পের আরো অভিযোগ, ইরানি কর্মকর্তাদের ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় না বসারও পরামর্শ দিয়েছেন কেরি।
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রে ১৭৯৯ সালে অনুমোদিত লোগান আইনে আমেরিকার শত্রু ভাবাপন্ন কোনো দেশের সঙ্গে ওয়াশিংটনের অনুমতি ছাড়া আলোচনা করাকে অপরাধ বলে গণ্য করা হয়ে থাকে। এখন পর্যন্ত ১৮০২ এবং ১৮৫২ সালে মাত্র দুই ব্যক্তি এই আইন লঙ্ঘনের দায়ে অভিযুক্ত হয়েছেন।