Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ সোমবার, মে ২০২৫ | ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

আশাতীত ফলন হলেও শ্রমিক সংকটে বিপাকে বগুড়ার কৃষকেরা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১ মে ২০১৯, ১২:৫৯ PM
আপডেট: ১১ মে ২০১৯, ১২:৫৯ PM

bdmorning Image Preview


বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা ইরি-বোরো ধানের ক্ষেত সোনালি রঙে ভরে উঠেছে। ফসলের দিগন্তবিস্তৃত মাঠে দোল খাচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন। আশাতীত ফলনের প্রত্যাশায় চাষিদের মুখে ফুটে উঠেছে খুশির ঝিলিক। তবে শেষ মুহূর্তে শ্রমিক সংকটে ধান কাটা নিয়ে বিপাকে এলাকার কৃষকেরা। তারা বলছেন, পাওনার চেয়ে বেশি দামেও মিলছে না শ্রমিক।

আদমদীঘি উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে উপজেলায় ইরি-বোরো ধান চাষে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক ফলন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। এ মৌসুমে উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় মোট ১২ হাজার ৪ শ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান রোপন করেছেন কৃষকরা। উপজেলার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, ইরি-বোরো ক্ষেতের ধান কাটা কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।

এলাকাবাসী বলছে, স্থানীয়দের পাশাপাশি প্রতিবছর দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে কাজের লোক এসে কাজ করত। এর ফলে শ্রমিক সংকট হতো না। কিন্তু এবার এই চিত্র একেবারেই আলাদা।

আদমদীঘি সদর ইউনিয়নের জিনরই গ্রামের কৃষক আনোয়ার হোসাইন জানান, এবার তিনি ৫ বিঘা জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষ করেছেন। প্রতিবিঘা জমিতে ধান উৎপন্ন হচ্ছে ১৬ থেকে ১৮ মণ। আর বর্তমান বাজারে প্রতিমণ ধান মোটা বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা দরে। তিনি বলেন, এক বিঘা জমিতে পানি বাবদ ১৫০০ টাকা, সার ২ হাজার টাকা, কীটনাশক ৫০০ টাকা, ধান কাটা ৩ হাজার টাকা, ধান মাড়াই করা ৪০০ টাকা মোট ৭ হাজার ৮০০ টাকা খরচ হচ্ছে। আর বাজারে বিক্রি হচ্ছে, প্রতিমণ ধান ৬০০ টাকা দরে। এতে উৎপাদনের চেয়ে খরচ বেশি হওয়ার বিপাকে পড়েছে চাষিরা।

উপজেলার পৌঁওতা গ্রামের কৃষক মোজাম্মেল হক জানান, এবার আট বিঘা জমিতে ইরি-বোরো চাষ করেছি। শ্রমিক না পাওয়ার কারণে ধান কাটা নিয়ে বিপাকে পড়তে হয়েছে। শ্রমিক সংকটের কারণে ন্যায্যমূল্যের চেয়ে বেশি দাম দিতে হচ্ছে শ্রমিকদের।

সান্তাহার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এরশাদুল হক টুলু জানান, স্থানীয় যারা মাঠে শ্রমিকের কাজ করত তারা অনেকেই এখন চার্জার ভ্যান ক্রয় করে ব্যবহার করছে। এর ফলে এই এলাকায় শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে।

এ ব্যাপারে আদমদীঘি উপজেলার ভারপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দ শাহীনুর ইসলাম বলেন, এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক জমিতে কৃষকরা ইরি-বোরো রোপন করেছে। তিনি আরো প্রত্যাশা করেন, এবার আদমদীঘি উপজেলায় ইরি-বোরো ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। শ্রমিক সংকট বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা স্থানীয় চাহিদার ওপর নির্ভর করে। আর একসঙ্গে ধান পাকার কারণে কৃষকদের কিছুটা সমস্যায় পড়তে হয়েছে। তবে ধানের দাম আর একটু বেশি হলে কৃষকের ভালো হতো।

Bootstrap Image Preview