Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ মঙ্গলবার, মে ২০২৫ | ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

চীনা রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যের কড়া জবাব দিয়েছে বাংলাদেশ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৩ মে ২০১৯, ১২:১৪ PM
আপডেট: ১৩ মে ২০১৯, ১২:১৪ PM

bdmorning Image Preview
প্রতীকী ছবি


চীনের ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড ইনিশিয়েটিভের বিষয়ে বুধবার এক সংবাদ সম্মেলন করেন ঝাং ঝাও। এসময় তিনি রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়ে বলেছিলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে রোহিঙ্গা সঙ্কটের সমাধান করা যেতে পারে।

রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ঝাং ঝাওয়ের বক্তব্যের কড়া জবাব দিয়েছে বাংলাদেশ।

চীনা রাষ্ট্রদূতের এ বক্তব্যের জবাবে শুক্রবার বাংলাদেশের শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবর্তন বিষয়ক কমিশনার মোহাম্মদ আবুল কালাম বলেছেন, রোহিঙ্গা মুসলিমদের দুর্ভোগের সঙ্গে অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগকে সমান করে দেখিয়ে চীনা রাষ্ট্রদূত মানবাধিকারের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন করেছেন।

তিনি বলেছেন,শুধু উন্নয়নের মাধ্যমে রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধান হবে না।এক্ষেত্রে মিয়ানমার সরকারের সদিচ্ছা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পাশাপাশি রাখাইনে রোহিঙ্গাদের অধিকার দেয়া না হলে এ সঙ্কট সমাধান হবে না।খবর রেডিও ফ্রি এশিয়া’র।

চীনা রাষ্ট্রদূত আরো বলেছিলেন, আমরা আশা করি, আমরা আরো আশা করি, বিসিআইএম অর্থনৈতিক করিডোর বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা রোহিঙ্গা সমস্যার একটি চমৎকার সমাধান পাবো।

বিসিআইএম হলো বাংলাদেশ-চায়না-ভারত-মিয়ানমার আঞ্চলিক সহযোগিতা ফোরাম। এশিয়ার চারটি দেশের মধ্যে বাণিজ্য উন্নত করার জন্য ১৯৯০ এর দশকের শুরুর দিকে এ ধারণার শুরু।

চীনা রাষ্ট্রদূতের এ বক্তব্য প্রসঙ্গে বেসরকারি থিংক ট্যাংক সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেছেন, চীন বলেছে তারা বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে উন্নয়ন দেখতে চায়। কিন্তু তারা রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন নিয়ে নীরবতা অবলম্বন করে যাচ্ছে।এটা মিয়ানমারকে এক প্রকার সমর্থনের শামিল।

তিনি বলেন, মিয়ানমারকে সবার আগে নিরাপত্তা, মৌলিক অধিকার, মুক্তভাবে চলাচলের অধিকার, শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের বিষয়টিতে নিশ্চিত করতে হবে, যাতে শরণার্থীরা ফিরে যেতে সাহস পায়।

চীনা রাষ্ট্রদূতের এ বক্তব্য প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রফেসর দেলোয়ার হোসেন বলেছেন,বেইজিং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বিষয়টি দেখছে অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিতে। উন্নয়নের নিরীখে মানবাধিকারকে অবজ্ঞা করে চীন রোহিঙ্গা সঙ্কটের সমাধান দেখছে। যা মোটেই কাম্য নয়।

Bootstrap Image Preview