Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১১ রবিবার, মে ২০২৫ | ২৮ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

আহতদের দেখতে গিয়ে তোপের মুখে শোভন-রাব্বানী

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৪ মে ২০১৯, ০১:৫৫ PM
আপডেট: ১৪ মে ২০১৯, ০১:৫৫ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


গতকাল কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার পর পদবঞ্চিতদের ওপর হামলার ঘটনায় আহতদের দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান সংগঠনের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী।

এ সময় উভয় পক্ষের নেতা-কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। চলতে থাকে পাল্টাপাল্টি স্লোগান। বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীদের তোপের মুখে কেন্দ্রীয় এই দুই নেতাকে ঢামেকের গেইট থেকেই ফিরে আসতে হয়।

সোমবার (১৪ মে) রাত পৌনে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

সংগঠনের কেন্দ্রীয় সম্মেলনের এক বছর পর ওইদিন বিকেলে ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করে ছাত্রলীগ।

পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মাথায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদবঞ্চিতদের পেটান সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা। কমিটিতে পদবঞ্চিত ও প্রত্যাশিত পদ না পাওয়া ব্যক্তিরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে সংবাদ সম্মেলন করতে গেলে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় নারী নেত্রীসহ ১০ থেকে ১২ জন আহত হন। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

রাত পৌনে এগারটার দিকে ছাত্রলীগের শীর্ষ এ দু’নেতা ঢাকা মেডিকেল কলেজের জরুরি বিভাগে আহতদের দেখতে গেলে আহতদের সঙ্গে থাকা শতাধিক নেতাকর্মীরা তাদের বাধা দেন। প্রায় আধাঘণ্টা পদবঞ্চিতদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার পর আহতদের না দেখেই ফিরে যান শোভন-রাব্বানী।

এ সময় উভয় পক্ষের নেতাকর্মীরা পাল্টা-পাল্টি স্লোগান দিতে থাকেন। ‘মানবতার কথা বলে বোনদের উপর হামলা কেন, বিচার চাই বিচার চাই’, ‘বিবাহিতরা কমিটিতে কেন, মানি না মানবো না’, ‘রাজাকারপুত্র কমিটিতে কেন, মানি না মানবো না’, ‘সন্ত্রাসীদের কালো হাত, ভেঙ্গে দাও গুড়িয়ে দাও’, ইত্যাদি স্লোগান দেয় পদবঞ্চিতরা।

এসময় সভাপতি-সাধারণ পক্ষের নেতাকর্মীরাও ‘বিদ্রোহীদের কালো হাত ভেঙ্গে দাও, গুড়িয়ে দাও’ বলে পাল্টা স্লোগান দেয়।

জানা গেছে, শোভন-রাব্বানী মেডিকেলের গেইটে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের পথ রুদ্ধ করে দাঁড়ান রোকেয়া হলের সভাপতি ডাকসুর ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক বিএম লিপি।

এ সময় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে উদ্দেশে তিনি বলেন, রাজাকারপুত্র, বিবাহিত, অছাত্রদের কমিটিতে রেখেছেন, আমাদের মত ত্যাগীদের কেন মূল্যায়ন করেননি।

এ সময় রাব্বানী বলেন, সামনে মূল্যায়ন করা হবে।

বঙ্গবন্ধু হলের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আল আমিন রহমান বলেন, যাদের কমিটিতে রেখেছেন তারা কোন বিবেচনায় আমাদের চেয়ে যোগ্য।

শোভন উত্তরে বলেন, সব কিছু বিবেচনা করা হবে। আমরা আহতদের দেখতে আসছি।

এ সময় সাবেক কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাইফুদ্দিন বাবু বলেন, ত্যাগী নেতাদের মারধর করে, কোন সিম্পেথি নেওয়ার জন্য এসেছেন। কোনো ভাবেই এই নাটক করতে দেওয়া হবে না।

পরে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হাসপাতালে না প্রবেশ করে চলে যান।

সোমবার সন্ধ্যার পর বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে স্থান না পাওয়া (পদবঞ্চিত) নেতাদের উপর হামলার ঘটনা ঘটে।

এই হামলা থেকে বাদ যায়নি নারী নেত্রীরাও। কয়েকজন নেত্রীকে চেয়ার দিয়ে পেটানো হয়েছে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

প্রসঙ্গত, গতকাল সোমবার ঢাকা বিশ্বববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীদের চালানো ওই হামলায় মারাত্মক আহত হন ছাত্রলীগ নেত্রী বি এম লিপি আক্তার, শ্রাবণী দিশা, শ্রাবণী শায়লা এবং তিলোত্তমা শিকদার। তাদের মধ্যে শ্রাবণী দিশার ভ্রু’র নিচে অন্তত ১৮টি সেলাই দিতে হয়েছে।

Bootstrap Image Preview