ক্রমেই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে কুমিল্লার কিশোরদের বিভিন্ন গ্যাং গ্রুপগুলো। সামান্য বিষয় নিয়ে খুন পর্যন্ত করতে দ্বিধা করছে না তাঁরা। তার চেয়েও বড় কথা এই গ্যাং গুলোর সদস্যদের বেশি ভাগই ৭ম ও ৮ম শ্রেণির ছাত্র। ইতিমধ্যে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী চিহ্নিত করেছে কিশোরদের ১০ গ্যাং-গ্রুপ।
এমনই একটি গ্রুপের নাম ‘ঈগল।’ যারা সোমবার দিনগত রাত ৯টার দিকে নগরীর মোগলটুলী এলাকার কর্ণফুলী পেপার হাউজের সামনে কুপিয়ে হত্যা করেছে কুমিল্লা মডার্ন হাই স্কুল থেকে সদ্য এসএসসি পাশ করা আজনাইন আদিল (১৭) নামের এক শিক্ষার্থীকে।
এর আগে গত ২১ এপ্রিল রাতে ‘তুই’ সম্বোধন নিয়ে সংঘর্ষের জের ধরে সহপাঠীদের ছুরিকাঘাতে নিহত হয় মোন্তাহিম ইসলাম মিরন নামে কুমিল্লা মডার্ন স্কুলের অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্র।
পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে আটক করে হত্যায় অংশ নেওয়া তিন কিশোরকে। তাদের দেওয়া জবানবন্দি থেকে বের হয়ে আসে ভয়ঙ্কর সব তথ্য। ওঠে আসে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠা অন্তত ১০টি গ্যাং গ্রুপের নাম।
সাঁড়াশি অভিযানে নামে জেলা ও পুলিশ প্রশাসন। পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন গ্যাং গ্রুপের অন্তত ৩০ জনকে গ্রেপ্তার করে এবং শহরের এসবি প্লাজার তিনটি দোকান থেকে অন্তত সাত শ আধুনিক ছোরা ও চাপাতি উদ্ধার করেছে।
আটককৃত ৩০ জন কুমিল্লা শহরের বিভিন্ন স্কুলের ছাত্র। তাদের বেশির ভাগই ৭ম ও ৮ম শ্রেণির ছাত্র। পরে অভিভাবকদের অবহিত করে তাদের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে আটককৃতদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।