নওগাঁয় চলতি মৌসুমে উৎসাহ নিয়ে বোরো ধান কাটা মাড়াই শুরু করেছেন চাষীরা। তবে এই উৎসাহে বাধ সেধেছে বাজারের ধানের দাম। আশানুরুপ দাম না থাকায় কৃষকদের মনে হতাশা দেখা দিয়েছে।
সরেজমিন দেখা গেছে কৃষক-কৃষাণীরা মাঠে ধান কাটছে। তাদের সাথে কথা বললে তারা জানান, এ বছর ধান কাটার আগ মুহূর্তে ঘূনিঝড় ফণীর প্রভাবে জমিতে ধান নুয়ে পড়ায় ধারনা করা হয়েছিল ধানের কাঙ্খিত ফলন হবে না। বর্তমারে জমির ধান কেটে দেখা গেছে স্থান ভেদে বিঘাপ্রতি ২০-২২ মন হাড়ে ধান হয়েছে।
উপজেলা দোচাই গ্রামের কৃষক বিপ্লব মেম্বার জানান, ঘূনীঝর ফণীর প্রভাবে ধান পড়ে যাওয়ায় ধান কাটা-মাড়াইয়ে বাড়তি শ্রমিক খরচ বেড়েছে। অন্যদিকে বাজারে প্রতিমন ধান বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ হতে ৬২০ টাকায়। এই দামে ধান বিক্রি করলে উৎপাদন খরচ উঠলেও লাভ হবে না।
এছাড়াও মাঠ থেকে ধান-কাটা মাড়াই এর জন্য শ্রমিকদের বিঘাপ্রতি ৭ থেকে ৮ মন ধান দিতে হচ্ছে। সব খরচ বাদ দিলে দেখা যাবে কোন লাভ হবে না।
শ্রীপুর গ্রামের আবেজউদ্দিন বলেন, ধারদেনা করে ও দোকান থেকে বাঁকি নিয়ে ধানের জমিতে সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়েছে। ধান বিক্রয় করে দেনা শোধ করার কথা রয়েছে। কিন্তু ধানের আশানুরুপ দাম না পাওয়া গেলে দেনা পরিশোধ তো দূরের কথা জীবন ধারন করাও কঠিন হয়ে যাবে।