Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ৩০ বুধবার, এপ্রিল ২০২৫ | ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

দেশে প্রতি বছর অকেজো হচ্ছে ৪০ হাজার মানুষের কিডনি

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৮ মে ২০১৯, ১২:০১ PM
আপডেট: ১৮ মে ২০১৯, ১২:০১ PM

bdmorning Image Preview


দেশে কোনো না কোনোভাবে কিডনি রোগে ভুগছে প্রায় দুই কোটি মানুষ। প্রতিবছর আক্রান্তদের মধ্যে ৪০ হাজার মানুষের কিডনি পুরোপুরি অকেজো হচ্ছে। কিডনি ফাউন্ডেশন নামের একটি বেসরকারি সংস্থার জরিপে এই তথ্য উঠে এসেছে। খবর- বিবিসি বাংলা।

কিডনি রোগীর জন্য দুই ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে। একটি হলো ডায়ালাইসিস অর্থাৎ যন্ত্রের মাধ্যমে কৃত্রিমভাবে কিডনির কাজ করানো। অপরটি হলো- কিডনি প্রতিস্থাপন। কিন্তু এই দুই ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতিই ব্যয়বহুল।

এ বিষয়ে কিডনি ফাউন্ডেশনের প্রধান অধ্যাপক হারুন আর রশিদ বলেন, ব্যয়ের বিষয়টা যেমন আছে, তেমনি কিডনি রোগের শেষ অবস্থার রোগীদের জন্য দেশে ডায়ালিসিস বা কিডনি প্রতিস্থাপনের সুবিধাও এখনও সেভাবে গড়ে ওঠেনি।

তিনি বলেন, বছরে ৪০ হাজার রোগীর যে কিডনি বিকল হচ্ছে, তাদের সবার চিকিৎসা দিতে চাইলে মানসম্মত হানপাতালের পাশাপাশি চিকিৎসার ব্যাপ্তি দরকার। এখন নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে নতুন ৪০ হাজার রোগীকে ডায়ালাইসিস সেবা দেয়া এবং প্রতিস্থাপন করা সম্ভব হয় না।

তিনি আরো বলেন, আমাদের যে সুযোগ সুবিধা আছে, তাতে আমরা ৪০ হাজার রোগীর মাত্র ২০ ভাগকে ডায়ালাইসিস বা প্রতিস্থাপন করে দিতে পারি। তাতে ৮০ভাগ রোগীই চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুবরণ করেন

কিডনি রোগের চিকিৎসার ব্যয় এবং সুযোগ-সুবিধা কোনোটাই পর্যাপ্ত নয়। ঢাকায় সরকারি হাসপাতাল ছাড়াও ব্যক্তি মালিকানায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কিছু ডায়ালাইসিস সেন্টার গড়ে উঠেছে।

ঢাকার বাইরে বড় কয়েকটি শহরে সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলোতে সীমিতপর্যায়ে এই চিকিৎসার ব্যবস্থা আছে। কিন্তু বেশিরভাগ জেলায় কিডনি রোগের চিকিৎসা ব্যবস্থা সেভাবে নেই।

অধ্যাপক হারুন আর রশিদ বলেন, কিডনির চিকিৎসা বিস্তারে কমিউনিটি হাসপাতালগুলোকে কাজে লাগানো যেতে পারে। লাভজনক সেন্টারগুলোতো এটা চিন্তাও করে না যে, একজন রোগীকে কত কম খরচে চিকিৎসা দেয়া যাবে। অলাভজনক যেসব সেন্টার আছে, সেগুলো খুবই অপ্রতুল। চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা- এমন সাত আটটা শহরে কিছু কিছু ডায়ালাইসিসের ব্যবস্থা আছে এবং সেটা একেবারে নগণ্য। গ্রাম পর্যায়ে এখন এটা চিন্তা করা খুব দুস্কর।

তিনি বলেন, কোনোমতেই বাংলাদেশে আগামী ২০ বছরে সব কিডনি রোগীকে চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হবে না। তবে একটা অবকাঠামো আছে, সেটা হচ্ছে কমিউনিটি ক্লিনিক। এই কমিউনিটি ক্লিনিকে যদি উদ্যোগ নেয়া যায়, তাহলে আমরা কিডনি রোগ, ডায়াবেটিস এবং উচ্চরক্তচাপ- এসব রোগ প্রতিরোধ করতে পারি।

Bootstrap Image Preview