Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৫ সোমবার, মে ২০২৫ | ২২ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

জেলা প্রশাসনের ইফতারে মাহফিলে দাওয়াত পাননি মেয়র আরিফ!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৮ মে ২০১৯, ০৮:২৮ PM
আপডেট: ১৮ মে ২০১৯, ০৮:২৮ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


বিশিষ্টজনদের নিয়ে ইফতার মাহফিল আয়োজন করে জেলা প্রশাসন। প্রতিবারের মতো গতকাল শুক্রবার (১৭ মে) সিলেট সার্কিট হাউসে এই ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে এ মোমেন, বিভাগীয় কমিশনার মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরীসহ সিলেটের সব সরকারি অফিস-আদালত ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সুশীল সমাজের নেতারা উপস্থিত ছিলেন এই ইফতার মাহফিলে।

তবে এই ইফতার দাওয়াত পাননি সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। সিলেটে সিভিল প্রশাসনের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে এমন বড় পরিসরে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে নগর পিতা আরিফকে আমন্ত্রণ না জানানোয় দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। সেই সাথে মেয়রের কণ্ঠে ঝরে পড়লো আক্ষেপ।

নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা বলছেন, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হচ্ছেন সিলেট নগরবাসীর অভিভাবক। তিনি নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি। তাকে জেলা প্রশাসনের ইফতার মাহফিলে দাওয়াত না দিয়ে নগরবাসীকে অপমান করা হয়েছে। এরকম কাজ কোনভাবেই কাম্য নয়। কারণ তিনি দলমত নির্বিশেষে সিলেটের সকল নাগরিকের অভিভাবক।

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী বলেন, মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী শুধু আমাদের মেয়র নয় তিনি আমাদের অভিভাবক। তাকে দাওয়াত না দিয়ে অপমান করা মানে আমাদের সবাইকে অপমান করা। প্রশাসনের বুঝা উচিত, একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে মেয়র বহু উপরে অবস্থান করেন। সরকার যদি মেয়রদেরকে প্রতিমন্ত্রীর যে মর্যাদা দিয়েছিল। তা বহাল রাখতে, তাহলে তিনি প্রতিমন্ত্রীর সমমর্যাদার পেতেন। এছাড়া তিনি দলীয় বিবেচনায় কোন কাজ করছেন বলে আমাদের মনে হয় না। সেজন্য ভবিষ্যতে যাতে এর পুনরাবৃত্তি না হয়।

সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর বরাত দিয়ে সিসিকের গণসংযোগ কর্মকর্তা শাহাব উদ্দিন শিহাব বলেন, মেয়র হচ্ছেন সিলেট নগরীর পাঁচ লাখ মানুষের প্রতিনিধি। তাকে দাওয়াত না দেয়া মানে পাঁচ লাখ মানুষকে অবমূল্যায়ন করা বা অসম্মান করা।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সন্দীপ কুমার সিংহ বলেন, ইফতার মাহফিলে কাদের দাওয়াত দেয়া হয়েছে বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি ঢাকা ছিলাম। আপনি জেলা প্রশাসনের আরডিসির সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের (আর ডিসি) উম্মে সালিক রুমাইয়া বলেন, দাওয়াতের বিষয়টি আমার দায়িত্বে ছিল না। আপনারা এনডিসি বা এডিএম শাখায় যোগাযোগ করে দেখেন।

পরে সিলেট জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ নাসির উল্লাহ খান ও সিলেট জেলা প্রশাসকের এনডিসি মুহাম্মদ এরশাদ মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলেও এটা তাদের দায়িত্ব নয় বলে জানিয়েছেন। এটি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শাখার দায়িত্ব।

এ বিষয়টি জানতে সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলামের যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মেয়র আরিফ জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁকে ইফতার মাহফিলের দাওয়াত দেয়া হয়নি। তাই তিনি সেখানে যাননি। সিলেট নগরবাসীর মনোনীত প্রতিনিধি হিসেবে তিনি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমন্ত্রিত না হওয়ায় বিস্মিত বলেও জানান তিনি।

Bootstrap Image Preview