Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ সোমবার, মে ২০২৫ | ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

ফণীতে ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হলেও টিকে গেছে সরকারি টয়লেট!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৯ মে ২০১৯, ০৪:৪০ PM
আপডেট: ১৯ মে ২০১৯, ০৪:৪০ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


সাইক্লোন ফণীতে ঘর-বাড়িসহ পুরো গ্রাম বিধ্বস্ত হলেও টিকে আছে সরকারি টয়লেট! স্বচ্ছ ভারত মিশনের অংশ হিসেবে উড়িষ্যায় এসব পাকা টয়লেট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। বরাদ্দপ্রাপ্তদের একজন হলেন খিরোদ জেনা (৫৮)। যিনি এখন স্ত্রী-সন্তান নিয়ে উঠেছেন এই টয়লেটে।

রাজ্যের রঘুদেপুর গ্রামের এ দিনমজুর এখন স্ত্রী আর কিশোরী দুই মেয়েকে নিয়ে থাকছেন ৭ ফুট লম্বা ৬ ফুট চওড়া টয়লেটের ভেতর।

কখনো ভাবেননি, এ টয়লেটেই স্ত্রী আর দুই মেয়েকে নিয়ে থাকতে হবে। আজ বাস্তবতা তাকে দাঁড় করিয়েছে এমনই কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি। গত ৩ মে ভারতে আঘাত হানে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণী। অন্য এলাকায় ঝড়ের তীব্রতা কম হলেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয় উড়িষ্যা। এ ঝড়েই ঘর-বাড়ি পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয় খিরোদ জেনার।

বৃদ্ধ জেনা বলেন, সাইক্লোনে আমার কাঁচাঘর বিধ্বস্ত হলেও পাকা টয়লেট টিকে গেছে। আমাদের যাওয়ার কোনো জায়গা নেই। দু’দিন আগে বরাদ্দ পাওয়া টয়লেটই আমাদের শেষ আশ্রয়।

তিনি বলেন, ফণী আমাদের বেঁচে থাকার পথ কঠিন করে দিয়েছে। আমার কাছে ঘর বানানোর টাকা নেই। তাই সরকারি ত্রাণের জন্য অপেক্ষা করা ছাড়া আর কোনো উপায় দেখছি না।

‘ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিপূরণ না পাওয়া পর্যন্ত এ টয়লেটেই থাকতে হবে আমাদের। এজন্য সবাইকে বাইরেই মলমূত্র ত্যাগ করতে হচ্ছে।’

নিজেদের এমন দুর্দশার জন্য রাজ্য সরকারকেই দায়ী করেছেন খিরোদ জেনা। তিনি বলেন, আমি সরকারের কাছে পাকা ঘর বানিয়ে দেওয়ার আবেদন করেছিলাম। কিন্তু সে আবেদন গ্রাহ্য করা হয়নি। সরকার তখন পাকা ঘর বানাতে সাহায্য করলে আজ এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হতো না।

জেলা গ্রামীণ উন্নয়ন সংস্থার প্রকল্প পরিচালক দিলিপ কুমার পারিদা বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফণীতে ক্ষতিগ্রস্ত একটি পরিবার টয়লেটে থাকার খবর পেয়েছি। ইতোমধ্যে ওই এলাকার ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া শুরু হয়েছে।

Bootstrap Image Preview