বিশ্বজুড়ে নেশার মতো ছড়িয়ে পড়ছে পাবজি । তরুণ ও যুবকদের মধ্যে আলোড়ন তুলেছে এই গেম। আর এই গেমের বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি অভিযোগ আসতে থাকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। এবারের আভিযোগ, ১৯ বছর বয়সী এক মায়ের বিরুদ্ধে।
হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করে ওই মেয়েটি দাবি করেছেন, তিনি তাঁর বর্তমান স্বামীর থেকে ডিভোর্স নিয়ে পাবজি খেলার সঙ্গীর সঙ্গে কাটাতে চান বাকি জীবন।
ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের গুজরাটে।
১৮ বছর বয়েসে মেয়েটির বিয়ে হয় একটি বাড়ির ঠিকাদারের সাথে। তারপরেই তিনি জন্মদেন একটি মেয়ে সন্তানকে। কিছু মাস যাবৎ সে এই গেম খেলতে শুরু করে। এবং সারাদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা তিনি মোবাইলে পাবজি খেলতে ব্যস্ত থাকেন। সেখানেই তাঁর সঙ্গে আলাপ হয় অন্য একটি সেই শহরের ছেলের সাথে। এখন তিনি স্বামী-সন্তানকে ফেলে লিভ টুগেদার করতে চান সেই পার্টনারের সঙ্গে।
‘অভয়ম-১৮১’ হেল্পলাইন প্রজেক্টের প্রধান নরেন্দ্রসিং গোহিল ভারতীয় গণমাধ্যমকে জানান, সারাদিনে গড়ে প্রায় ৫৫০টি ফোন কল আসে এই হেল্পলাইনে। তার মধ্যে ৯০ শতাংশ বাড়িতেই আবেদনকারীদের সাহায্য করতে পৌঁছে যান মনস্তাত্ত্বিকরা।
কাউন্সেলিং দলের প্রধান সোনাল সাগাথিয়া আবেদনকারিনীর সঙ্গে দেখা করেন এবং তাঁর সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার পরামর্শ দেন। সোনাল জানান, মহিলার মানসিক অবস্থা বিচার করে তাঁকে পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠানোর কথা বলা হয়, কিন্তু সঙ্গে ফোন রাখা যাবে না বলে ওই তরুণী পুনর্বাসন কেন্দ্রে যেতে অস্বীকার করেন।
এর আগেও খবর হয়েছিল যে পাবজির জেরে স্বামী-স্ত্রীর ডিভোর্স, এই ঘটনাটি ঘটেছে আরবে। স্ত্রীকে পাবজি খেলতে বারণ করায় তাঁর থেকে ডিভোর্স চেয়ে মামলা করেছেন ওই ব্যক্তির স্ত্রী। তারপর শোনা গিয়েছিল যে মালেশিয়ার এক ব্যক্তি পাবজি গেম খেলার জন্য অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও সন্তানকে ছেড়ে দেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।