ভারতের সুপ্রিম কোর্টের হিন্দু বিবাহ আইনে ‘বাবা-মায়ের থেকে আলাদা করতে চাইলে স্ত্রীকে ডিভোর্স দিতে পারবেন স্বামী’ এই মর্মে বিধান জারি করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি জাস্টিস অনিল দাভে এবং জাস্টিস এল নাগেশ্বর একটি ঐতিহাসিক রায়ে বলেন, ছেলের ওপর নির্ভরশীল এবং বৃদ্ধ বাবা-মায়ের থেকে স্বামীকে নিয়ে আলাদাভাবে বসবাস করতে জোর করলে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করতে পারেন স্বামী।
এ বিষয়ে ১৪ পাতার একটি রায় ঘোষণা করেন বিচারপতিদের বেঞ্চ। রায়ে উল্লেখ করেন, পশ্চিমা সভ্যতার সঙ্গে ভারতীয় সংস্কৃতি এবং রাজনীতির বিস্তর ফারাক রয়েছে। সেখানকার নিয়ম এখানে চলতে পারে না। বৃদ্ধ বাবা-মাকে দেখা ছেলের কর্তব্য বলেই ধরা হয়।
রায়ে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘অতীতে দেখা গিয়েছে স্বামীকে চাপ দিতে স্ত্রী আত্মহত্যার হুমকি বা আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। যদি কোনো ক্ষেত্রে তিনি মারা যান তবে আইনি সমস্যায় জর্জরিত হতে হয় সেই ব্যক্তিকে। তার ক্যারিয়ার, পরিবার, সামাজিক সম্মান সব কিছু নষ্ট হয়ে যায়। এ সব কিছুর কথা ভেবে শেষ পর্যন্ত চাপের কাছে নতি স্বীকার করে নেন অনেকে। আর যাতে এই রকম ঘটনা না ঘটে তার জন্যই এই রায়ের বিধান করা হয়েছে।’
ভারতের সর্বোচ্চ বিচারবিভাগীয় অধিকরণ ও ভারতের সংবিধানের অধীনে সর্বোচ্চ আপিল আদালত এবং সর্বোচ্চ সাংবিধানিক আদালত সুপ্রিম কোর্ট। তাই সুপ্রীম কোর্টের এই ঐতিহাসিক রায়ের ফলে ভাঙার হাত থেকে অসংখ্য পরিবার বেঁচে যাবে বলে ধারণা সাধারণ মানুষের।