Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ৩০ সোমবার, জুন ২০২৫ | ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

মধ্যপ্রাচ্যে আরো সেনা পাঠালো যুক্তরাষ্ট্র

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৫ মে ২০১৯, ১১:১৫ AM
আপডেট: ২৫ মে ২০১৯, ১১:১৫ AM

bdmorning Image Preview


ইরানকে কেন্দ্র করে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার মধ্যে আরো সেনা, অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

দেশটির ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্যাট্রিক শানাহান একটি বিবৃতিতে বলেছেন, সেখানে আরো দেড় হাজার সেনা পাঠানো হচ্ছে। সেই সঙ্গে যুদ্ধবিমান, ড্রোন এবং অন্যান্য অস্ত্রশস্ত্রও মোতায়েন করা হবে।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, এর আগে শুক্রবার সকালে নতুন করে সেনা মোতায়েনের ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি এই সেনা মোতায়েনকে ‘তুলনামূলকভাবে স্বল্প’ বলে উল্লেখ করেন।

সম্প্রতি ওমান উপসাগরে কয়েকটি তেলের জাহাজে রহস্যজনক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটার পর মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। এরপর ওই এলাকায় বিমানবাহী রণতরী এবং বোমারু বিমান মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

নতুন করে সেনা মোতায়েনের পর ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্যাট্রিক শানাহান বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে ইরানিয়ান সেনাবাহিনী, ইরানি রেভুল্যশনারি গার্ড কর্পস-আইআরজিসির অব্যাহত হুমকির মোকাবেলায় এই সেনারা একটি রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করবে।

ইরান ২০১৫ সালে ছয় পারমাণবিক ক্ষমতাধর দেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক পারমাণবিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। গত বছর যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সঙ্গে করা ওই পারমাণবিক কর্মসূচি বা জয়েন্ট কমপ্রিহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন (জেসিপিওএ) থেকে বেরিয়ে যায় এবং তার পর থেকে ইরানে পুনর্বার অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করে। শুধু তাই নয়, ওই চুক্তিতে থাকা ইউরোপীয় মিত্র দেশগুলোকেও তারা ওই অবরোধে শামিল হওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করছে। যদিও যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া সবাই এই পারমাণবিক চুক্তিটি রাখার পক্ষে।

এদিকে আমেরিকার চলমান অর্থনৈতিক অবরোধ, ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডকে ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করা ও বিভিন্ন উস্কানির মুখে সম্প্রতি ইরান আবারও নিজের পারমাণবিক কর্মসূচি শুরু করবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে। ক্রমে চরমে উঠছে যুক্তরাষ্ট্র-ইরান সংঘাত।

এরই মধ্যে পারস্য উপসাগরে আব্রাহাম লিংকন ও ইউএসএস আরলিংটন যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ছাড়া ওমান উপসাগরে চারটি বাণিজ্যিক জাহাজে নাশকতামূলক হামলার পর ওই এলাকার পরিস্থিতি আরো অশান্ত হয়েছে। কারা জাহাজগুলোতে হামলা চালিয়েছে, তা এখনো জানা যায়নি।

এদিকে, চলমান পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র যেন কোনোভাবেই ইরানের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে না পড়ে, সে ব্যাপারে বারবার দেশটিকে সতর্ক করে যাচ্ছে ইউরোপীয় মিত্র দেশগুলো।

Bootstrap Image Preview