মার্কিন কংগ্রেসের তীব্র বিরোধিতা সত্ত্বেও সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও জর্ডানের কাছে ৮০০ কোটির বেশি ডলারের অস্ত্র বিক্রির পথেই এগিয়ে চলছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
শুক্রবার (২৪ মে) মধ্যপ্রাচ্যের এ দেশগুলোর কাছে অস্ত্র বিক্রির প্রক্রিয়া বন্ধ করতে আহ্বান জানায় কংগ্রেস। এরই জের ধরে দেশে জরুরি অবস্থাও ঘোষণা করেছেন ট্রাম্প।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ইরানের সঙ্গে শঙ্কাময় পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে কংগ্রেসের কাছে জরুরি অবস্থার কথা জানায় ট্রাম্প প্রশাসন। এ সময় সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও জর্ডানের কাছে ২২ রকমের অস্ত্র বিক্রিতে ট্রাম্পের সম্মতির কথাও জানানো হয়। তবে এ জরুরি অবস্থার পেছনে রয়েছে আরও একটি কারণ যা সহজেই অনুমেয়।
কংগ্রেসের আপত্তি যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তেমন একটা আমলে নিচ্ছেন না এবং অস্ত্র বিক্রির যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ফেলার ফন্দি ইতিমধ্যে এঁটে ফেলেছেন তা এ জরুরি অবস্থা ঘোষণার মধ্য দিয়ে স্পষ্ট হলো। কেননা এ ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণে কংগ্রেসের অনুমোদন প্রয়োজন। তবে জরুরি অবস্থার মাঝে প্রেসিডেন্ট চাইলে বিষয়টি নিজ এখতিয়ারে নিয়ে আসতে পারেন,আর সুযোগটিই কাজে লাগাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
কংগ্রেস সদস্যরা আরও বেশ কিছু দিন আগে থেকেই বিশেষ করে মাসখানেক আগে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে আক্রমণাত্মক ও বিধ্বসী অস্ত্র বিক্রির ব্যাপারে আপত্তি জানায়। তা সত্ত্বেও ট্রাম্পের একগুয়েমি মার্কিন প্রশাসনে নতুন করে বিরোধপূর্ণ তথা অচলাবস্থা তৈরি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইয়েমেনে একের পর এক বিমান হামলায় শত শত বেসামরিক মানুষের মৃত্যুর বিষয়টিকে মানবতাবিরোধী হিসেবে গণ্য করে সৌদি আরবের কাছে অস্ত্র বিক্রির তীব্র বিরোধিতা করে আসছে কংগ্রেস। তারপর তুর্কি সাংবাদিকে জামাল খাশোগির নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনা কংগ্রেসের আপত্তিকে আরও বেগবান এবং যুক্তিপূর্ণ করে তুলেছে।
এই বিষয়ে মার্কিন গুরুত্বপূর্ণ সিনেটর ক্রিস মাফি বলেন, ট্রাম্প এই ঘটনাটি ঘটাচ্ছেন কংগ্রেসের আপত্তির কারণে। এমন কোনো পরিস্তিতি তৈরি হয়নি যে, ইয়েমেনের ওপর বোমা বর্ষণের অস্ত্র বিক্রিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে হবে।
এদিকে, ট্রাম্পের অস্ত্রবিক্রির সাফাই গেয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধুদের দ্বারা ইরানকে ভীত করতে সিদ্ধান্তটি কাজে দেবে।