Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৬ মঙ্গলবার, মে ২০২৫ | ২২ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

চট্টগ্রামের ৯০ শতাংশ স্কুল ও মাঠের ১০০ মিটারে তামাকপণ্য বিক্রি

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৬ মে ২০১৯, ১২:৪৪ PM
আপডেট: ২৬ মে ২০১৯, ১২:৪৪ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


৪০টি নির্বাচিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও খেলার মাঠের ১০০ মিটারের মধ্যে তামাকপণ্যের বিক্রয় কেন্দ্রে ক্রস সেকশনাল পর্যবেক্ষণে শিশুদের ধূমপায়ী বানানোর নানা অপচেষ্টা উঠে এসেছে।

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও রাঙামাটি জেলা থেকে নির্বাচিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ৯০ শতাংশ ও খেলার মাঠের ১০০ শতাংশের মধ্যে তামাকপণ্যের বিক্রয় কেন্দ্র রয়েছে। গড়ে এ সংখ্যা দাঁড়ায় ৬টি।

৭৭ শতাংশ বিক্রয় কেন্দ্রে শিশুদের চোখের সমান্তরালে (১ মিটার) তামাকপণ্য প্রদর্শিত হচ্ছে। ৩৩ শতাংশ বিক্রয় কেন্দ্রে চকলেট, মিষ্টি বা খেলনার পাশে তামাকপণ্য দেখা গেছে।

ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডসের (সিটিএফকে) সহযোগিতায় ইয়ং পাওয়ার ইন সোশ্যাল অ্যাকশন (ইপসা) 'বিগ টোব্যাকো টিনি টার্গেট: বাংলাদেশ' শীর্ষক জরিপে এমন চিত্র উঠে এসেছে।

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে রবিবার (২৬ মে) সংবাদ সম্মেলন করে জরিপের ফলাফল তুলে ধরা হয়।

ফলাফলে দেখা যায়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও খেলার মাঠের ১০০ মিটারের মধ্যে ৯৬ শতাংশ বিক্রয় কেন্দ্রে তামাক পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রদর্শিত হচ্ছে। ৮৪ শতাংশ বিক্রয় কেন্দ্রে তামাকপণ্যের স্টিকার, ডেমো প্যাকেট, ফেস্টুন, ফ্লায়ার প্রদর্শনের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। ১৪ শতাংশ বিজ্ঞাপন হচ্ছে পোস্টারে, ১ শতাংশ হচ্ছে ছাতায় তামাক কোম্পানির ব্রান্ডিং এবং ১ শতাংশ বিলবোর্ডের মাধ্যমে।

ইপসার উপ-পরিচালক নাসিম বানু জরিপের ফলাফল তুলে ধরেন। ২০১৭ সালের ৩-৩০ ডিসেম্বর এ জরিপ পরিচালিত হয়।

নাসিম বানু বলেন, ৯৮ শতাংশ বিক্রয় কেন্দ্রে একক শলাকা সিগারেট বিক্রি করায় শিশুরা টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে ধূমপান করছে। এ ছাড়া তামাকপণ্য বিক্রিতে প্রণোদনামূলক কার্যক্রম, উপহার ও মূল্যছাড় দেওয়াসহ নানা বিষয় ধরা পড়েছে জরিপে।

জরিপের সুপারিশ তুলে ধরে তিনি বলেন, ১০০ মিটারের মধ্যে তামাক পণ্য বিক্রি নিষিদ্ধ করতে হবে। ১ শলাকা সিগারেট বিক্রি নিষিদ্ধ করতে হবে। তামাক বিক্রেতাদের লাইসেন্সের আওতায় আনতে হবে।

জরিপের ফলাফলের ওপর আলোচনা করেন কবি ওমর কায়সার, সিটিএফকের ব্রান্ড ম্যানেজার আবদুস সালাম, সাংবাদিক আলমগীর সবুজ, ইপসার কর্মকর্তা গিয়াস উদ্দিন হিরু।

ওমর কায়সার বলেন, আমি দেড় বছর সিগারেট খাই না। এর কুফল ভোগ করার পর এ সিদ্ধান্ত নিই। সিগারেট বিক্রিতে শিশুরা কীভাবে সম্পৃক্ত হচ্ছে, কতজন জড়িত সেটা নিয়ে জরিপ করা উচিত। এর বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের সোচ্চার হতে হবে।

Bootstrap Image Preview