Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ মঙ্গলবার, মে ২০২৫ | ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

কমলাপুরে শেষ দিনেও উপচেপড়া ভিড়

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৬ মে ২০১৯, ১২:৪৩ PM
আপডেট: ২৬ মে ২০১৯, ১২:৪৩ PM

bdmorning Image Preview


দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদুল ফিতর। ঈদযাত্রাকে সামনে রেখে আজ রোববার থেকে শেষ হচ্ছে অগ্রিম টিকিট বিক্রি। আজ পাওয়া যাচ্ছে ৪ জুনের টিকিট। শেষ দিনের টিকিট সংগ্রহের জন্য রেলস্টেশনে টিকিটপ্রত্যাশীদের উপচেপড়া ভিড়।

অগ্রিম টিকিটের জন্য ২০-২২ ঘণ্টা লাইনে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। আসনের তুলনায় চাহিদা বেশি বলে বহু চেষ্টার পরও টিকিট পাচ্ছেন না অনেকেই।

তবে শেষ সুযোগ একটি থাকছে। ২২-২৬ মে পর্যন্ত অনলাইন ও কাউন্টারে বিক্রি না হওয়া টিকিট ২৮ মে (মঙ্গলবার) থেকে ক্রমান্বয়ে পুনরায় অ্যাপ ও কাউন্টার থেকে বিক্রি হবে। ঈদযাত্রা শুরু হবে ৩১ মে থেকে।

এদিকে ‘রেলসেবা’ নামক অ্যাপ নিয়ে ধীরগতির অভিযোগ রয়েছে। অ্যাপে কারও কারও টাকা কেটে নিলেও টিকিট মেলেনি। ফেরত পাচ্ছেন না টাকা।

তবে রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) মিয়াজাহান জানিয়েছেন, কাউন্টার কিংবা অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট পাচ্ছেন না- এমন অভিযোগ সত্য নয়। আমরা প্রতিদিন টিকিট বিক্রি করছি। সীমিত টিকিট, তাই কাউন্টার থেকে সবাইকে টিকিট দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। অ্যাপে প্রচণ্ড চাপ।

একই সঙ্গে প্রায় ৩ লাখ মানুষ হিট করছেন। যাদের মধ্যে ৫ থেকে ৭ শতাংশ টিকিট কাটতে পারছেন। অ্যাপেও সীমিত টিকিট রয়েছে। যাদের টাকা কেটে নেয়া হয়েছে, তাদের টাকা ৮ দিনের মধ্যে নিজ নিজ নম্বরে চলে যাবে।

এদিকে ই-সেবার সিএনএস-বিডি লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক মেজর (অব.) মো. জিয়াউল আহসান সরোয়ার যুগান্তরকে বলেন, সীমিত টিকিটের বিপরীতে কেউ যদি অ্যাপে প্রবেশ করতে না পারেন, সেটা নিশ্চয় সিএনএসের কোনো দুর্বলতা নয়। টিকিট বিক্রিতে কোনো অনিয়মের সুযোগ নেই। কারণ টিকিট বিক্রির কোনো অর্থের সঙ্গে সিএনএসের সম্পর্ক নেই।

অ্যাপে ধীরগতি রয়েছে এবং এ অ্যাপে টাকা কেটে নিলেও টিকিট পাচ্ছেন না- এমন অভিযোগের বিষয়ে জিয়াউল আহসান সরোয়ার বলেন, ধীরগতি নয়, যারা প্রবেশ করতে পারছেন, তারা দ্রুত সময়ের মধ্যেই টিকিট কাটতে পারছেন। যারা প্রবেশ করতে পারছেন না, তাদের বিলম্ব হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ‘টিকিট বিক্রিতে স্বচ্ছতার জন্য কমলাপুর স্টেশনে ডিজিটাল ডিসপ্লে লাগানো হয়েছে। কতটি টিকিট বিক্রি হচ্ছে, কে নিচ্ছেন, তার মোবাইল নম্বরসহ তথ্য-উপাত্ত রয়েছে সিএনএসের কাছে।

এদিকে সাধারণ যাত্রীদের প্রশ্ন- প্রতিদিন ৭ হাজার ৪৯০টি টিকিট কেন প্রকাশ্যে আনা হচ্ছে না। অ্যাপে বিক্রি করা টিকিট ডিজিটাল ডিসপ্লেতে দেখানো হলেও কাউন্টার থেকে বিক্রি করা টিকিট কেন ডিসপ্লেতে দেখানো হচ্ছে না।

Bootstrap Image Preview